নয়াদিল্লি, চেন্নাই ও কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সি.এস কারনানের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এছাড়া ছ মাসের জেলহেফাজতের নির্দেশও বহাল রাখা হয়েছে। বুধবারর সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারক নিয়ে গঠিত এক বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তুরের এক গেস্টহাউস থেকে কারনানকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। বুধবার কারনানকে কোয়েম্বাত্তুর থেকে আনা হল কলকাতায়। নিয়ে যাওয়া হল প্রেসিডেন্সি জেলে। তার আগে, বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় কারনানের।
জানা গিয়েছে, নিজের ফোনের সিম কার্ড ব্যবহার করছিলেন না কারনান। কোয়েম্বাত্তুরের এস আর গার্ডেনের একটি দোতলা বাড়িতে ছিলেন। সিআইডি সূত্রে খবর, কারনানের অন্তর্ধানের নেপথ্যে দুই ব্যবসায়ীক বন্ধু।
তাঁদের আশ্রয়েই ছিলেন সি এস কারনান। তাঁদের একজনের বাড়ি কেরলের কোচিতে। অন্তর্ধানের সময় নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। শেষমেশ, মোবাইলের সূত্র ধরেই জালে ধরা পড়েন কারনান।
তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৮ মে সুপ্রিম কোর্টের কুড়ি জন বিচারপতির বিরুদ্ধে কারনান দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। তারপর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ সাত বিচারপতিকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারপতি সি এস কারনান।
তার প্রেক্ষিতেই পরের দিন অর্থাৎ, ৯ মে তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের জেলহাজতের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে কারনানের বক্তব্য প্রকাশ্যে না আনার জন্য সংবাদমাধ্যমকেও নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। বেঞ্চ জানায়, বিচারপতি সি এস কারনানকে যদি জেলে পাঠানো না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে।
যদিও না না ভাবে নিজের গ্রেফতারি এড়িয়ে চলছিলেন ৬২ বছর বয়সি এই আইনজীবী। তারপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল কোয়েম্বত্তুরের পোলাচি হাইরোডে মালুমিচামপট্টির এক গেস্ট হাউস থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। যদিও কালও তিনি তাঁর গ্রেফতারি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, দাবি পুলিশ সূত্রে।