বেঙ্গালুরু: কর্নাটক বিধান পরিষদের ডেপুটি স্পিকার ও জনতা দল সেকুলার নেতা এস এল ধর্মগৌড়া আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। চিকমাগালুরের কডুর এলাকায় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। রেল লাইনের ওপর তাঁর দুই খণ্ড দেহ মিলেছে। তাঁর আত্মহত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

দেহের পাশ থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন কডুর থানার পুলিশ। তাতে তিনি লিখেছেন, ১৫ তারিখ কংগ্রেস নেতারা তাঁর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন, এমনকী চেয়ার থেকে ঠেলে ফেলে দেন। এই ঘটনার জেরে হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন তিনি।

গত রাতে বাড়ির লোককে কিছু না জানিয়ে বেরিয়ে যান ধর্মগৌড়া। তাঁর খোঁজ না মেলায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন পরিবারের লোকজন। আত্মহত্যার কথা সামনে আশায় হতবাদ জনতা দল সেকুলার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও জেডিএস নেতা এইচডি দেবগৌড়া বলেছেন, ধর্মগৌড়ার আত্মহত্যা তাঁদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে। তিনি শান্ত ও ভদ্র মানুষ ছিলেন। তাঁর এভাবে চলে যাওয়া গোটা রাজ্যের ক্ষতি।

জেডিএস নেতা ও কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীও টুইটে লিখেছেন, তাঁর দল একজন অসাধারণ রাজনীতিককে হারাল। দলের বরিষ্ঠ নেতা ও তাঁর ভাইয়ের মত এস এল ধর্মগৌড়ার আত্মহত্যার খবরে তাঁরা হতবাক। ইশ্বর ধর্মগৌড়ার পরিবার ও তাঁর অনুরাগীদের কৃপা করুন।

কংগ্রেস রাজ্য বিধান পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়োগের বিরোধিতা করছিল। ডেপুটি চেয়ারম্যান ধর্মগৌড়া সেদিন তাঁর আসনে বসার সঙ্গে সঙ্গে তারা হইচই শুরু করে, এমনকী বিধান পরিষদের কংগ্রেস সদস্যরা ডেপুটি চেয়ারম্যানের চেয়ার ঠেলে সরিয়ে দেন। এই সময় কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়ক (MLC)-দের মধ্যে বিরাট হাঙ্গামা হয়।

ধর্মগৌড়ার মৃত্যুতে কর্নাটকে রাজনৈতিক ঝড় উঠতে পারে। তাঁর ভাই এস এল ভোজেগৌড়া নিজেও MLC, তিনি আবার জেডিএস প্রধান কুমারস্বামীর ঘনিষ্ঠ।