বেঙ্গালুরু: কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৭ জন দলত্যাগী বিধায়কের পদ খারিজের ব্যাপারে কর্নাটক বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাঁদের ভোটে লড়াই করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আদালতের এই রায়ের পর তাঁদের মধ্যে ১৬ জন বিজেপিতে যোগ দিলেন। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, রাজ্য বিজেপি সভাপতি নলিন কুমার কাটীল এবং রাজ্যের দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় সাধারণ সম্পাদক মুরলীধর রাও তাঁদের স্বাগত জানালেন।
রাজ্যে ১৫ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে বেশিরভাগ আসনেই জয়ের লক্ষ্য বিজেপির। উপনির্বাচনে তাঁদের বেশিরভাগকেই বিজেপি প্রার্থী করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও শিবাজীনগর আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত দলত্যাগী রোশন বেগকে এদিন বিজেপিতে নেওয়া হয়নি। বিজেপি সূত্রের খবর, রোশন বেগের ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে দলীয় নেতৃত্বের। আইএমএ চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
তাত্পর্যপূর্ণ ব্যাপার হল যে, পদচ্যূত দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়ক আর রোশন বেগ গতকাল বুধবার দাবি করেছিলেন যে, তিনি অন্যান্য পদচ্যূত বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেবেন।
পদ খারিজ হওয়া যে কংগ্রেস বিধায়করা এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন তাঁরা হলেন প্রতাপ গৌড়া পাতিল (মাস্কি), বিসি পাতিল (হিরেকেরুর), শিবরাম হেব্বার (ইয়েল্লাপুর), এসটি সোমশেখর (ইয়েসবন্তপুর), ব্যারাতি বাসবরাজ (কেআর পুরম), আনন্দ সিংহ (বিজয়নগর), এন মুনিরাথনা (আরআর নগর), কে সুধাকর (চিক্কাবল্লাপুরা), এমটিবি নাগরাজ (হোসকোটে), শ্রীমন্ত পাতিল (কাগওয়াড়), রমেশ জারকিহোলি (গোকাক), মহেশ কুমাটাল্লি (আথানি) এবং আর শঙ্কর (রানিবেন্নুর)। এছাড়াও জেডিএসের কে গোপালাইয়া (মহালক্ষ্মী লেআউট), এএইচ বিশ্বনাথ (হুনসুর) এবং কেসি নারায়ণ গৌড়া (কেআর পেট)-ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
আগামী ৫ নভেম্বর ১৭ আসনের মধ্যে ১৫ টি আসনে উপনির্বাচন হবে। ওই ১৭ জন পদ খোয়ানো বিধায়কের অনুপস্থিতি ও পদত্যাগের কারণে এইচ ডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের পতন ঘটেছিল। হাইকোর্টে মামলার জন্য বাকি দুটি আসনের উপনির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে।
হোসকোটে বিজেপির বিক্ষুব্ধ তথা ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শরথ বচেগৌড়া নির্দল প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেডিএস তাঁকে সমর্থনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কাগওয়াডে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক রাজু কাগে দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কংগ্রেস তাঁকে ওই আসনে টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ক্ষমতা ধরে রাখতে ১৫ আসনের মধ্যে বিজেপির কমপক্ষে ছয়টি আসনে জয় প্রয়োজন।