বেঙ্গালুরু: কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের পর সরকার গঠন নিয়ে ফের বিতর্ক। সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপাল ভাজুভাই বালার জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামীকে ডাকার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা (এবিএইচএম)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুন্না কুমার শর্মা   কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত রদের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কুমারস্বামীকে সরকার গড়তে ডাকার অর্থ হল ভোটারদের 'প্রতারণা'।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের আর্জিতে বলা হয়েছে, কংগ্রেস-জেডিএস জোট সংবিধানের পরিপন্থী এবং ভোটারদের প্রতি প্রতারণার সামিল।
এবিএইচএমের আর্জিতে বলা হয়েছে, কংগ্রেস-জেডিএস জোট 'সুবিধাবাদী এবং প্রতারণামূলক'। সংগঠনের দাবি, ওই দুটি দলের কোনওটিই সরকার গঠনের জনাদেশ পায়নি।
এবিএইচএমের আর্জিতে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, 'যে রাজনৈতিক দলের কর্নাটকে সরকার গঠনের জন্য জনাদেশ নেই, তারা রাজ্যের জনগনের দ্বারা ক্ষমতা থেকে অপসারিত কোনও দলের সাহায্যে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারে না'।
উল্লেখ্য, ভোটের ফল প্রকাশের পর কংগ্রেস ও জেডিএস হাত মেলায় এবং সরকার গঠনের দাবি জানায়। কিন্তু রাজ্যপাল প্রথমে সরকার গঠন করতে ডাকে ভোটে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসা বিজেপিকে।
এর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জরুরি ভিত্তি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছিল বিজেপি সরকারকে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সুপ্রিম কোর্ট গত ১৯ মে বিধানসভায় আস্থা ভোটের সরাসরি সম্প্রচারের নির্দেশ দিয়েছিল। ওই দিন আস্থা ভোটে এড়িয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা।


তাঁর ইস্তফার পর কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। আগামী ২৩ মে কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন।
এবারের ভোটে কর্নাটকে কোনও দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপি ১০৪, কংগ্রেস ৭৮ এবং জেডিএস ৩৭ আসন পায়। বাকি দুটি আসনে পরে ভোট হবে।
কংগ্রেস-জেডিএস জোটের দাবি, বিধানসভায় তাদের ১১৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন বিএসপি, অন্য দুই জন নির্দল।