কার্তির বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার বা এলওসি জারি করেছে সিবিআই। তার কারণ হিসেবে তারা প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে বলেছে, কার্তির বিদেশ সফর থেকে বেরিয়ে এসেছে চমকে দেওয়ার মত তথ্য। এর সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে তার সরাসরি যোগ রয়েছে। অতিরিক্ত সলিসিটর তুষার মেহতা সিবিআইয়ের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে কিছু নথিপত্র জমা দিতে চান। বলেন, বিদেশে কার্তির কার্যকলাপ সংক্রান্ত কিছু তথ্য এই খামে রয়েছে। কিন্তু এই আবেদনের ঘোরতর বিরোধিতা করেন কার্তির আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি বলেন, এভাবে আদালতে নথি জমা দেওয়া যায় না, তা এফআইআরের অংশ নয়।
জবাবে মেহতা বলেন, কার্তি বলেছিলেন, তাঁর মাত্র একটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু ঘটনা হল, বিদেশে গিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছেন। সব কিছু তিনি খোলাখুলি বলতে চান না, তাতে কার্তি বিড়ম্বনায় পড়বেন। কিন্তু তাঁর কাছে সব তথ্য রয়েছে।
৪ অক্টোবর এ নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি।
২০০৭-এ পি চিদম্বরম কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা ঢোকে। সে ব্যাপারে বেনিয়মের অভিযোগে কার্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। তাদের অভিযোগ, আইএনএক্স মিডিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত আটকাতে কমিশন খান কার্তি।