এদিন সকালে বান্দিপোরায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে শহিদ হলেন এক সেনা জওয়ান। এই ঘটনায় খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, বান্দিপোরার নহিদখাই গ্রামের মাঞ্জপোরায় দুই জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে ১৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপ এলাকাটি ঘিরে ফেলে। ভোরের আলো ফুটতেই বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। সেই সময় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। এই ঘটনায় এক সেনা জওয়ান গুরুতর জখম হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। গুলির লড়াই থামলেও এলাকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। উদ্ধার হয় একে-৪৭ রাইফেল, ১০টি ম্যাগাজিন, হ্যান্ড গ্রেনেড, ওয়াকি টকি এবং নগদ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা।
পাশাপাশি, বারামুলার সোপোরেও জঙ্গিরা একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও পুলিশ সেখানে যৌথ অভিযান চালায়। আত্মসমর্পণ করে এক জঙ্গি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে সোপোরেই আত্মসমর্পণ করেছিল আরও এক জঙ্গি।
এদিকে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা বনধে এদিন কাশ্মীরের জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। রাস্তাঘাটে লোকজন ও যানবাহন অন্যান্য দিনের তুলনায় কম বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক আধিকারিক। তিনি আরও জানিয়েছেন, শ্রীনগরের বেশিরভাগ দোকান, পেট্রোল পাম্প, দোকান-বাজার বন্ধ রয়েছে। তবে কোনও কোনও এলাকায় দোকান-বাজার খোলা রয়েছে।
কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলাতেও বনধের প্রভাব পড়েছে। উল্লেখ্য, ১৪০ দিন অচল থাকার পর গত সপ্তাহান্তে স্বাভাবিক ছিল উপত্যকার জনজীবন।
হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির পর প্রতি সপ্তাহেই আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। গত শনি ও বরিবার ছাড় দেওয়ার পর তারা ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বনধের ডাক দিয়েছে।
উপত্যকায় চলতি হিংসায় দুই পুলিশ কর্মী সহ ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।