শ্রীনগর: কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে দিল্লি থেকে আসা সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব নাকচ করল বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্স। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় বসায় কেন্দ্রের সায় না থাকলেও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান হিসেবে তাদের এই আমন্ত্রণ জানান জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। কিন্তু হুরিয়তের সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মীরওয়াইজ উমর ফারুক ও ইয়াসিন মালিক একসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, ট্র্যাক টু আলোচনা শুধু মানুষের যন্ত্রণা বাড়াবে, কোনও স্বচ্ছ, এজেন্ডানির্ভর আলোচনা এভাবে সম্ভব নয়। আলোচনার জন্য কোনও স্পষ্ট এজেন্ডাও দিল্লির কাছে নেই বলে তাঁদের অভিযোগ।

বিরোধীরা অবশ্য জানিয়েছেন, এরপরেও নিজে থেকে গিয়ে হুরিয়তের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা ও এমআইএমের আসাদউদ্দিন ওয়াইসি সোমবার মীরওয়াইজ ও গিলানির সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁদের বক্তব্য, হুরিয়ত রাজি না হলেও তাঁরা আলোচনার জন্য চেষ্টার ত্রুটি করবেন না।

আলোচনায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে মেহবুবা মুফতির চিঠি ৩ হুরিয়ত নেতার কাছেই পৌঁছয়। কিন্তু গিলানি সেই চিঠি নিতে রাজি হননি। হুরিয়তকে আলোচনায় ডাকার পক্ষে কংগ্রেস, বাম সহমত হলেও কেন্দ্রের আপত্তি থাকায় তাদের কাছে কোনও সরকারি আমন্ত্রণপত্র যায়নি।

ন্যাশনাল কনফারেন্স অবশ্য মেহবুবার পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। ওমর আবদুল্লার বক্তব্য, আলোচনার ব্যাপারে আন্তরিক হলে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের আগে গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল।

কাশ্মীরে অশান্তি এখনও আগের মতই চলছে। সোপিয়ানে কট্টরবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকে একটি প্রতিবাদ মিছিল নিরাপত্তারক্ষীরা বার হতে না দিলে রাস্তায় নামে হাজারো বিক্ষোভকারী। মিনি সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।