নয়াদিল্লি: আইএসআইএসের বিশ্বজোড়া সন্ত্রাসের সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে কাশ্মীরের হিংসা। বিপদ ঠেকাতে সুপরিকল্পিত স্ট্র্যাটেজি দরকার। আশঙ্কাপ্রকাশ করলেন খোদ জম্মু কাশ্মীরের উপ মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি সদস্য মুজফফর হুসেন বেগ। তিনি বলেছেন, কাশ্মীর অশান্তি দেশভাগ ও মহম্মদ আলি জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের ফসল। তবে ‘৯০-এর দশকে যখন উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ শুরু হল, অসংখ্য কাশ্মীরী পণ্ডিত ও মুসলিম খুন হলেন, তখনও তা ছিল আঞ্চলিক অশান্তি। তখনও তার সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের খিলাফতি সাম্রাজ্যের আকাঙ্খা যুক্ত ছিল না। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, কাশ্মীর অশান্তি আইএসের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের দলে ভিড়তে চলেছে। বেগের আশঙ্কা, এই হিংসা থামবে না, বরং বাড়বে।


দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই রাজনীতিকের কথায়, কাশ্মীরে যে ধর্মীয় কট্টরপন্থা দেখা যাচ্ছে, তার কোনও রাজনৈতিক লক্ষ্য নেই, যা রয়েছে তা ধর্মীয় লক্ষ্য। তা হল মুসলিমদের নিজস্ব দেশ পেতেই হবে, তারা হিন্দু রাষ্ট্রে থাকতে পারে না। আগে বয়স্ক মানুষ ও গ্রামবাসীরা উপত্যকায় ভোটে যোগ দিতেন। কিন্তু এখন গ্রামের দিকেও ছড়িয়ে পড়েছে কট্টরপন্থা। যুবকদের হৃদয়ে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে ধর্মীয় গোঁড়ামি। এমনকী মহিলারাও হিংসায় যোগ দিচ্ছেন।

তাঁর কথায়, এর আগে তিনবার অশান্তি দেখেছে কাশ্মীর। প্রথমবার, ১৯৫৩ থেকে ‘৭৫-এ, শেখ আবদুল্লার জেলমুক্তির লক্ষ্যে। দ্বিতীয়বার ‘৭৫ থেকে ‘৮৭-তে, স্বায়ত্ত্বশাসন ফিরে পাওয়ার জন্য ও তৃতীয়বার, যেটা তাঁর মতে, সবথেকে বিস্তৃত, ‘৮৭-তেই, যখন ভোটে নজিরবিহীন রিগিং হয়। কাশ্মীরের বর্তমান হিংসা তথাকথিত ‘আরব বসন্ত’র ধর্মীয় চিন্তাভাবনা থেকে অনুপ্রাণিত বলে আশঙ্কা করছেন বেগ।

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করার জন্য জোটসঙ্গী বিজেপির সমালোচনা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ৩৭০ ধারা কাশ্মীরের মানুষের আবেগের সঙ্গে যুক্ত, কোনও একটি পার্টি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ভারত- পাকিস্তান আলোচনা ছাড়া কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।