শ্রীনগর: মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের বদগামে গত ৯ এপ্রিল এক কাশ্মীরী যুবককে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহারের প্রতিবাদে সরব হলেও ওই পদক্ষেপ যে সেনা অফিসারের মস্তিষ্কপ্রসূত, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে ক্লিনচিট পেলেন বলে দাবি সূত্রের।


যদিও পিটিআইয়ের খবর, সেনা সূত্রেই ওই অফিসারকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। সূত্রটির বক্তব্য, কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই হয়নি, কোর্ট অব এনকোয়্যারির তদন্ত এখনও বহাল রয়েছে।

ঘটনাটি বিতর্কের ঝড় তোলার পর মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির নির্দেশে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। সেনার কোর্ট অব এনকোয়্যারি (সিওআই) তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেনা সূত্রের খবর, সেখানে মেজর নীতীশ গগৈ নামে ওই সেনাকর্তা জানিয়ে দেন, ঘটনার দিন উত্তেজিত জনতার পাথর থেকে জওয়ানদের বাঁচাতেই তিনি মানব ঢাল করেছিলেন ফারুক আহমেদ দার নামে ওই কাশ্মারী যুবককে। তাঁর ব্যাখ্যাই অনুমোদন করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। গগৈ যেভাবে 'তাত্ক্ষনিক উপস্থিত বুদ্ধি'র জোরে জওয়ানদের প্রাণহানি, জখম হওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ নাকি তার প্রশংসা করেছে ।
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ওই সেনা অফিসারকে ক্লিনচিট দিয়েছে। সেনাবাহিনী প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিল, মারমুখী যুবকদের পাথর ছোঁড়া থেকে নিরস্ত করতে একেবারে শেষে ওই পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি।

সেদিন ওই কাশ্মীরী যুবককে সেনার চলন্ত জিপের বনেটে বেঁধে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘোরানো হয়, যাতে বিক্ষোভকারীরা পাথর না ছোঁড়ে। কাশ্মীরে অসন্তোষ ছড়ায় ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায়।

এর আগে শ্রীনগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনৈক মুখপাত্র বলেছিলেন, সেনার জিপে এক ব্যক্তিকে বেঁধে ঘোরানোর ভিডিওর বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তদন্ত চলছে।
শ্রীনগর লোকসভা উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে ভোট বানচাল করতে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়ছিল বদগামের বিরওয়ায়। তখনই নাকি কাশ্মীরী যুবককে জিপে বেঁধে ঘোরানোর ভিডিও করা হয়। ভিডিওতে এক সেনা জওয়ানকে বলতে শোনা গিয়েছে, যারা পাথর ছুঁড়ছে, ওদেরও এমন হাল করে ছাড়ব!

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ভিডিওটি দেখে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন।