নয়াদিল্লি: কেন্দ্র কারফিউ তোলার পথে হাঁটলেও শান্তি ফিরল না কাশ্মীরে। বরং কারফিউ তোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রবলভাবে উপদ্রব শুরু হল উপত্যকায়। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ফলে জঙ্গি বুরহান ওয়ানি নিকেশের পর অশান্তির উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৭২।

তবে বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, জোটসঙ্গী পিডিপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ভাবছে না তারা। কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় শাসনও জারি করার পক্ষে নয় শাসক দল, কারণ, তার ফলে নিরাপত্তা বাহিনী ও মানুষের মধ্যে যে রাজনৈতিক মধ্যস্থতা রয়েছে, তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। রাজ্যপাল এন এন ভোরাকে সরিয়ে দেওয়ারও পক্ষপাতী নয় বিজেপি। তাদের বক্তব্য, ভোরা কুশলী রাজনীতিক, কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কেও তিনি ওয়াকিবহাল। তাই তাঁকে রাজ্যপালের কুর্সি থেকে সরানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই।

তবে ৫৫দিন ধরে টানা অগ্নিগর্ভ উপত্যকায় পিডিপি-র জনপ্রিয়তা কমছে হু হু করে। অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, সোপিয়ান ও কুলগাম- দক্ষিণ কাশ্মীরে পিডিপি-র কদিন আগেরও একের পর এক শক্ত ঘাঁটি ছেড়ে পালাচ্ছেন রাজনীতিকরা। দক্ষিণ কাশ্মীরেই অশান্তির আগুন সবথেকে বেশি করে জ্বলছে। শুধু মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি আর তাঁর দলীয় সদস্যরাই নন, ভারতপন্থী রাজনীতিকরাও ছেড়ে চলে যাচ্ছেন এই সব এলাকা। বুধবার সন্ধেয় কুলগামে পিডিপি-র রাজ্যসভা সদস্য নাজির লাওয়ের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও হামলা চলেছে অন্তত ১১জন পিডিপি নেতার বাড়িতে। পিডিপি বা বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স- অশান্তি শুরু হওয়ার পর কোনও রাজনৈতিক দল উপত্যকায় একটিও জনসভা করতে পারেনি।

তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি নরম মনোভাবের জন্য খ্যাত মেহবুবা মুফতি এবার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব নিয়েছেন। নির্দোষ যুবকদের হাতে পাথর তুলে দিয়ে হিংসায় উৎসাহিত করার জন্য তিনি সরাসরি দোষ দিয়েছেন হুরিয়ত সহ এসব বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে। বলেছেন, অকারণে হিংসার পথ আঁকড়ে থাকলে সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা বহুগুণ বাড়বে বই কমবে না।

এর মধ্যে রবিবার সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ শ্রীনগর আসছেন।