নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে যে যুবকরা নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি মদত পাচ্ছে তারা। একইভাবে তাদের উসকোচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর এই অভিযোগ করলেন জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। মেহবুবা বলেছেন, তিনি পাকিস্তানকে বলতে চান, যদি তাদের কাশ্মীরীদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি থাকে, তবে তাদের উচিত স্থানীয় মানুষকে পুলিশ স্টেশনে হামলা চালাতে উৎসাহ না দেওয়া।

মেহবুবা এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত-পাক সম্পর্কের উন্নতিতে যথেষ্ট করেছেন। তিনি নিজে লাহৌর গিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়েছেন ইসলামাবাদে। এবার পাকিস্তানের উচিত আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ নেওয়া। প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন বলে জানিয়ে পাকিস্তানকে তাঁর হুঁশিয়ারি, কাশ্মীরের বিষয়ে কথা বলার কোনও অধিকার তাদের নেই, সুতরাং নাক গলানো বন্ধ করুক তারা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে শুক্রবার সন্ধেয় দিল্লি আসেন জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপত্যকায় ঘুরে আসার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে দিল্লি ডেকে পাঠায় তাঁকে। জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেহবুবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, কাশ্মীরে এতদিন ধরে চলে আসা অশান্তির পিছনে যারা, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অশান্তির আগুনে ঘি ঢালছে এমন ১৭০জনের তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য ও কেন্দ্রের গোয়েন্দাবিভাগ। এরাই লোকজনকে উসকোচ্ছে রাস্তায় নেমে ঝঞ্ঝাট পাকিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলা চালাতে। অভিযুক্তরা বেশিরভাগই দক্ষিণ কাশ্মীরের, যা মেহবুবার পিডিপি-র শক্ত ঘাঁটি। রাজ্য পুলিশ এদের ঠেকাতে বিশেষ কিছু না করায় এরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে অশান্তি পাকাচ্ছে বলে কেন্দ্র অভিযোগ করেছে বলে খবর। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মেহবুবাকে চাপ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে মারা গেছে ১ বিক্ষোভকারী। এ নিয়ে সাম্প্রতিক অশান্তিতে কাশ্মীরে মৃতের সংখ্যা ৭০ ছুঁল। এছাড়াও এদিন ভোরে পুলওয়ামাতেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১ পুলিশ কনস্টেবল।