শ্রীনগর: উপত্যকাকে শান্ত করতে আরও ১২ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী পাঠাল সিআরপিএফ। হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর জেরে অশান্তচ কাশ্মীরে মৃতের সংখ্যা আপাতত ২৩, ক্রমাগত ইটপাটকেল বৃষ্টিতে আহত হয়েছেন ৩০০-র বেশি সিআরপি জওয়ান। জনতা ঝিলম নদীতে পুলিশের জিপ ফেলে দেওয়ায় জলে ডুবে মারা গেছেন ১ পুলিশকর্মী। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য হুরিয়ত কনফারেন্সকে আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্য সরকারের আহ্বান, সবরকম মতামত দূরে সরিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও মূলস্রোতের রাজনীতিকদের উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে একজোট হতে হবে, যাতে আর মূল্যবান প্রাণহানি না হয়। হিংসা কখনও কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।
মেহবুবার আবেদনে চিঁড়ে ভিজেছে কিনা বোঝা না গেলেও হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়, পুলিশ স্টেশন আর অ্যাম্বুলেন্সের যেন ক্ষতি না হয়। তবে অশান্তির জেরে এদিনও চালু হতে পারেনি অমরনাথ যাত্রা। এখনও জম্মুর নানা যাত্রী নিবাসেই রয়ে গিয়েছেন অন্তত ১৫,০০০ তীর্থযাত্রী। আর এক দল যাত্রীও এসে পৌঁছেছেন। তবে রবিবার ৮,৬১১জন তীর্থযাত্রী দর্শন সেরেছেন বলে জানিয়েছে শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড।
শ্রীনগরে এখনও পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত অশান্তি হলেও ঝামেলার মূল কেন্দ্র হল দক্ষিণ কাশ্মীরের চারটি জেলা। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই সেখানকার বাসিন্দা। ২০১০-এর গ্রীষ্মে শ্রীনগর থেকে গোটা উপত্যকায় যেভাবে অশান্তি ছড়িয়েছিল, সে কথা মাথায় রেখে প্রশাসন আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। যে কোনওভাবে শ্রীনগরে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছে তারা। উপত্যকা জুড়ে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মীরকে। বিক্ষোভ রুখতে কারফিউতে আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। উপত্যকায় এখনও বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। দক্ষিণ কাশ্মীরে মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ থাকায় ওই এলাকা বাকি রাজ্য থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।