আগামী ১০ নভেম্বর প্রতি বছরের মতো এবারও টিপু জয়ন্তী পালন করবে কর্নাটক সরকার। কিন্তু সেখানে তাঁকে যেন ডাকা না হয়, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও উত্তর কন্নড়ের ডেপুটি কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন হেগড়ে। কট্টর কংগ্রেস-বিরোধী বলে পরিচিত হেগড়ে উত্তর কন্নড়ের পাঁচবারের সাংসদ। হেগড়ের ট্যুইট, নৃশংস খুনি, বদ্ধ, গোঁড়া ধর্মোন্মাদ, গণধর্ষণকারী বলে যাকে লোকে চেনে, এমন একজনকে মহিমান্বিত করে তোলার লজ্জার আসরে আমায় আমন্ত্রণ না জানাতে বলেছি কর্নাটক সরকারকে।
যদিও সরকারি প্রোটোকল অনুসারে জেলার যাবতীয় সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় তাঁর নাম রাখতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এভাবে টিপু জয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় সমালোচনা করেছেন হেগড়ের, তিনি এ নিয়ে রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, একজন মন্ত্রী হয়ে এমন কথা লেখা উচিত হয়নি ওঁর। টিপু জয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র কেন্দ্র, রাজ্যের সব নেতা, মন্ত্রীকে পাঠানো হবে। আসা, না আসা তাঁদের ব্যাপার।
সিদ্দারামাইয়ার সংযোজন, অহেতুক এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু করা হচ্ছে। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে চারটি যুদ্ধেই লড়েছিলেন টিপু। রাজ্য সরকার টিপুকে অষ্টাদশ শতকের এক 'স্বাধীনতা যোদ্ধা', যিনি উপনিবেশবাদের শৃঙ্খল থেকে ভারতের মুক্তির পথে সাহায্য করেছিলেন, বলেই যে মনে করে, সেটা স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কর্নাটক সরকারের সাড়ম্বরে টিপু জয়ন্তী পালনের সিদ্ধান্তকে 'সংখ্যালঘু তোষণ' বলেছে বিজেপি, আরএসএস। গত দু বছরে নানা মহল থেকে টিপু জয়ন্তী পালনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হলেও রাজ্য সরকার এই নিয়ে তৃতীয়বার ওই কর্মসূচি রূপায়নে অনড়।
কেউ কেউ আবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, টিপুর জন্মবার্ষিকী আসলে ২০ নভেম্বর, ১০ নভেম্বর ৭০০ মেলকোট আয়েঙ্গারকে ফাঁসি দিয়েছিলেন তিনি।
হেগড়ে অবশ্য বিতর্কে জড়িয়েছেন আগেও। তাঁর মা-কে কেন অগ্রাধিকার দিয়ে আগে দেখতে আসেননি, এই অভিযোগে সিরসির বেসরকারি হাসপাতালের দুজন ডাক্তার ও এক কর্মীকে থাপ্পড় মেরেছিলেন।