নয়াদিল্লি: পঞ্জাবে দলের নিদারুণ হতাশাজনক ফলের পিছনে ইভিএমের 'কারসাজি' দেখতে পাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। কী করে আমআদমি পার্টি (আপ) মাত্র ২০টি আসন পেল, তা তাঁর 'বোধগম্য হচ্ছে না' বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ১১ মার্চের ৫ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশের পর আজই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আপ ঝড় উঠেছে বলে রাজনৈতিক পন্ডিত, বিশেষজ্ঞদের আগাম স্পষ্ট পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কী করে অকালিরা ৩০ শতাংশ ভোট পায়? কংগ্রেস এমন ভাল ফল করবে, কেউই বলেনি, আর ওরা কিনা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেল! আমাদের সন্দেহ, ইভিএমে কলকাঠি নেড়ে আপের পাওয়া ২০-২৫ শতাংশ ভোট শিরোমনি অকালি দল-বিজেপি জোটের ঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে গোয়াতেও কেন আপ দাঁতই ফোটাতে পারল না, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি কেজরীবাল। গোয়া শূন্য হাতেই ফিরিয়েছে তাঁকে।
গতকালই কেজরীবাল দিল্লির মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন তিনি যাতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দিল্লি পুরসভার আসন্ন নির্বাচনে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটপত্রে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করতে দরবার করেন।
পঞ্জাবের যে ৩২টি জায়গায় পেপার অডিট সিস্টেম চালু আছে, সেখানকার ভোটের হিসাবের সঙ্গে ইভিএমে পড়া ভোটের হিসাব মিলিয়ে দেখার দাবি করেন কেজরীবাল। তাঁর স্পষ্ট কথা, এটা দেশের ভোট ব্যবস্থার ওপর মানুষের ভরসা ও নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন। আমাদের হাতে কিন্তু প্রাথমিক ভাবে অনিয়মের স্পষ্ট প্রমাণ আছে।

এদিকে কেজরীবালের অভিযোগ সম্পর্কে বিজেপি এখনও কিছু না বললেও পঞ্জাবে তাদের শরিক শিরোমনি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কাউর কটাক্ষ করেছেন, উনি সম্ভবত মানসিক ভারসাম্য খুইয়েছেন। তাই এসব বলছেন। দিল্লিতে আপ যখন ৬৭টি আসন জিতেছিল, তখন এসব কথা ওঠেনি। সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিরোমনি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিংহ বাদলের স্ত্রী হরসিমরত এও বলেন, ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সংশয়, প্রশ্ন না তুলে কেজরীবাল বরং বিপাসনা প্র্যাকটিস করুন! পঞ্জাবের মানুষ আপ-কে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। উনি দিল্লি নিয়েই থাকুন, সেদিকে নজর দিন।
এবারের পঞ্জাব ভোটে ১১৭ সদস্যের বিধানসভায় শিরোমনি অকালি দল ও বিজেপি যথাক্রমে মাত্র ১৫ ও তিনটি করে আসন পেয়েছে।