ধর্মশালা: রাজনীতি থেকে ব্যস্ত জীবন, প্রযুক্তি থেকে দূষণ—সবকিছুকে পেছনে ফেলে ১০ দিনের জন্য ধ্যান করতে হিমাচল প্রদেশে অরবিন্দ কেজরীবাল।


জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে তিব্বতীয় আধ্যাত্মিক গুরু দলাই লামার বাসস্থান ধর্মশালার কাছে ধর্মকোটের এক বিপাসন ধ্যান কেন্দ্রে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

সমুদ্রতল থেকে প্রায় ২ হাজার ফুট উচ্চতায় ধৌলাধার পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত এই ধ্যানকেন্দ্রটি। চারদিকে শুধু দেওদর গাছের সারি।

ধর্মকোটকে ইজরায়েলের তেল আভিভ বলা হয়ে থাকে। কারণ, এই জায়গাটি ইজরায়েলি পর্যটকদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয়।

বিপাসন ধ্যান কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পবন শর্মা জানান, আগামী ১০ দিন ধরে এখানে বিপাসন ধ্যানের প্রত্যেক ধাপ শেখানো হবে।

তিনি মনে করিয়ে দেন, এখানে থাকার সময় কঠোর অনুশাসন এবং নিয়মকানুন সকলকেই মেনে চলতে হয়। যেমন, প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল— এই ১০ দিন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে পারবেন না।

তাঁরা কোনও বৈদ্যুতিন গ্যাজেট – যেমন মোবাইল ফোন বা পেজার রাখতে পারবেন না। এমনকী, টিভি বা খবরের কাগজও রাখতে পারবেন না।

এমনকী, কেন্দ্রের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও নির্ধারিত সময় ছাড়া বাক্যালাপ করতে পারবেন না বলে জানা গিয়েছে।

এছাড়া, খাবারের বিষয়েও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। সকালে প্রাতঃরাশে থাকবে দুধ, কলা এবং কর্ন ফ্লেকস। মধ্যাহ্নভোজনে থাকবে ভাত এবং ডাল। এরপর সারাদিনে কোনও খাবার দেওয়া হবে না।

শুতে হবে কংক্রিটের বিছানায়। এর জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে দেওয়া কম্বল, চাদর এবং বালিশই ব্যবহার করতে হবে।

এছাড়া, প্রয়োজনে সকল ব্যক্তিদের নিজেদের কাপড় কেচে নিতে হবে।

নয়ের দশকের গোড়ার দিকে এই কেন্দ্রটি গড়ে তোলেন এস এল গোয়েঙ্কা। প্রথম এধরনের ১০-দিনের কোর্স চালু হয় ১৯৯৪ সালে। জানা গিয়েছে, এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে এই কোর্স চালু থাকে।

সারা বিশ্বে মোট ১২০টি বিপাসন কেন্দ্র রয়েছে।