তিরুবনন্তপুরম: কেন্দ্রের গবাদি-বিধিকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিল কেরল বিধানসভা। কেরলের শাসক ও প্রধান বিরোধী-উভয় পক্ষই বিধানসভায় কেন্দ্রের ওই বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ করেছে।
সম্প্রতি নিধনের জন্য দেশের বাজারগুলি গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক। তালিকায় রয়েছে গরু, ঘোড়া, উট, ষাঁড়, বলদ সহ ছয়টি প্রাণী।
এই গবাদি-বিধি সম্পর্কে আলোচনার জন্য কেরল বিধানসভার একদিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। সিপিএম নেতৃত্বাধীন শাসক জোট এলডিএফ এবং বিরোধী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন এলডিএফ- উভয়পক্ষ এই বিধিকে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে সমালোচনা করে। সেইসঙ্গে ওই বিধি সাধারণ মানুষের পছন্দের খাবার খাওয়ার অধিকারে হস্তক্ষেপেরও সামিল বলেও মন্তব্য করেন তারা।
কেন্দ্রের কাছে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিধানসভায় একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। একমাত্র বিজেপি বিধায়ক এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। প্রস্তাব পেশ করে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, সঙ্ঘ পরিবারের কর্মসূচী রূপায়ণের জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। তিনি অভিযোগ করেন, এনডিএ সরকার কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করতে পারেনি। তাই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র।
শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষের সদস্যরাই বলেন, গবাদি-বিধি শুধু সাম্প্রদায়িকই নয়, একইসঙ্গে তা শ্রমজীবী ও কৃষিজীবীদের স্বার্থের পরিপন্থী। এজন্য অবিলম্বে বিধি প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা।
গতকাল নয়াদিল্লিতে একেজি সেন্টারে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির ওপর হামলার ঘটনা নিয়েও সরব হন দলের বিধায়করা। তাঁরা অভিযোগ করেন, পেশীশক্তির মাধ্যমে রাজনৈতিক বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে সঙ্ঘ পরিবার।
বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সভাকে ব্যবহার করছে এলডিএফ এবং ইউডিএফ।