তিরুঅনন্তপুরম: কেরল ইঞ্জিনিয়ারিং আর্কিটেকচার মেডিক্যালের (কেইএএম)প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসা দুই ছাত্রের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল। এঁরা গত ১৬ জুলাই প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছিলেন। এই ঘটনা ফের একটা প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিল। অ্যাকাডেমিক বোর্ড এবং প্রতিষ্ঠানগুলি নানা পরীক্ষার আয়োজন করে কি ছাত্রদের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে! জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় বসার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে নিজ নিজ পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন ছাত্ররা। এর লক্ষেরও বেশি ছাত্র পরীক্ষায় বসেন মোট ৩৪৩টি সেন্টারে। কেরলের নানা প্রান্তে তো বটেই, দিল্লি, মুম্বই এমনকী দুবাইতেও রাখা হয়েছিল সেন্টার। আক্রান্ত ছাত্রদের মধ্যে একজন পোঝিউরের বাসিন্দা। তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল থাইকাউদ সেন্টারে। অপর আক্রান্ত ছাত্র কারাকুলামের বাসিন্দা। তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল কারামানা সেন্টারে।
জানা যাচ্ছে, পরীক্ষা চলাকালীন নিরাপদ দূরত্ববিধি রক্ষিত হলেও তিরুঅনন্তপুরম, পাট্টম-সহ বেশ কয়েকটি সেন্টারে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বেশ ভিড় করে অনেকে দাঁড়িয়ে গল্প করেন। দূরত্ববিধি শিকেয় ওঠে। তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ শশী তারুর পরীক্ষা সেন্টারে ভিড় হয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন পর্যন্ত। সে কথা তিনি ফেসবুকে লেখেনও। আশঙ্কা যে মিথ্যে নয়, তা দুই ছাত্রের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি জানতে পারার পর স্পষ্টভাবে সামনে এসেছে। আরও কোনও কোনও ছাত্র আক্রান্ত হলেন কীনা তা নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আবার কোভিডের আবহে প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলির জন্য এ ভাবে ছাত্রদের আর ডাকা হবে কীনা তা নিয়েও সংশয় জাগছে ক্রমেই।