কোঝিকোড়: বন্যা-বিধ্বস্ত কেরলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে পৌঁছলেন রাহুল গাঁধী। রাহুলের নিজের কেন্দ্র ওয়েনাড় বন্যা ও ধসে কবলিত। রবিবার দুপুরে, কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে সঙ্গে নিয়ে কোঝিকোড়ের করিপুর বিমানবন্দরে পৌঁছন। তিনি মল্লপুরম জেলার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের ময়না করবেন বলে জানা গিয়েছে।
চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে ওয়েনাড় থেকে রেকর্ড ব্যবধানে জেতেন রাহুল। তিনি জানিয়েছেন, ওয়েনাড়ের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করবেন এবং সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। টুইটারে কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, আগামী কয়েকদিন আমি আমার লোকসভা কেন্দ্রে থাকব। ওয়েনাড়ের ত্রাণশিবিরগুলি ঘুরে দেখব।
প্রসঙ্গত, বন্যা ও ধসে ওয়েনাড় ও মল্লাপুরমে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ইতিমধ্যেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। কথা বলেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ওয়েনাড়ের কালেক্টর ও স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গেও।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বন্যা-বিধ্বস্ত কেরলে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১,৫৫১টি ত্রাণ-শিবিরে সওয়া ২ লক্ষের বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃষ্টি কমলেও, মানুষের সমস্যার সমাধান হয়নি। পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের তিনি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, যে কোনও সময়ে ধস নামতে পারে। এদিকে, ফের রাজ্যের তিন জেলা-- কান্নুর, কাসারাগড় ও ওয়েনাড়ে বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
এরমধ্যেই, দুদিন বন্ধ থাকার পর কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের ওঠানামা ফের চালু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে রানওয়ে জলমগ্ন থাকায় কোনও বিমান ওঠানামা করতে পারেনি। দক্ষিণ রেল এদিনও ১০টি ট্রেন বাতিল করেছে। আরও সাতটি ট্রেন আংশিক বাতিল করা হয়েছে, ২টির রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। উদ্ধারকার্যে সেনা, নৌ, উপকূলরক্ষী, এনডিআরএফ, পুলিশ বাহিনী ছাড়াও কাজে লাগানো হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক ও মৎস্যজীবীদের।
এই নিয়ে পরপর ২ বছর বন্যার করালগ্রাসে পড়েছে কেরল। গতবছর প্রবল বর্ষণের রোষে ৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। কয়েক লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়েছিলেন।