তিরুঅনন্তপুরম: মেয়েরা জিনস, টিশার্ট পরলে তাদের শরীর উন্মুক্ত হয়, পুরুষরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এ ধরনের মেয়েদের পাথরের সঙ্গে বেঁধে সমুদ্রে ডুবিয়ে মারা হোক। দেশের শিক্ষিততম রাজ্য বলে পরিচিত কেরালার এক খ্রিস্টান যাজক এই ফতোয়া জারি করেছেন। ফেসবুকে জারি হওয়া তাঁর বক্তৃতার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।


২৫ তারিখ আপলোড হয়েছে ভিডিওটি। তাতে দেখা যাচ্ছে, নাম না জানা ওই যাজক মালয়ালম ভাষায় বলছেন, জিনস, টি শার্ট পরে ঘোরা অর্ধনগ্ন মেয়েরা সমাজের ক্ষতি করছে। তাদের পোশাকে উত্তেজনা বাড়ছে পুরুষদের। তাঁর কথায়, কিছু গির্জায় তিনি যখন যান, বিশেষ করে হোলি মাসের সময়, তখন মহিলাদের দেখে গির্জা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। মনে হয়, লাথি মেরে ওই মহিলাদের বার করে দেওয়া হোক। তারা জিনস, প্যান্ট পরে, টি শার্ট বা শার্ট পরে, হাতে মোবাইল ফোন থাকে। চুলটাও বাঁধে না। শুধু লোকের নজর কাড়ার জন্য এটা করে তারা।

মহিলাদের প্রতি তাঁর প্রশ্ন, ক্যাথলিক চার্চ কি তোমাদের পুরুষদের পোশাক পরার অধিকার দিয়েছে? না বাইবেল সেই অধিকার দিয়েছে? তাঁর কথায়, মহিলাদের সেরা পোশাক হল চুড়িদার। কিন্তু শয়তানের প্রভাবে পড়ে মেয়েরা ওড়না ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।

উত্তেজক পোশাক পরে ওই মহিলারা ঈশ্বরকে অমান্য করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এরপর কোন যুক্তিতে ঈশ্বরের দয়াভিক্ষা করে তারা?

তারপরেই বাইবেল আউড়ে তাঁর মন্তব্য, বাইবেল বলছে, যারা তোমাকে পাপের দিকে ঠেলে দেয়, তাদের শরীরে পাথর বেঁধে সমুদ্রে ডুবিয়ে মারো। মহিলারা যদি পুরুষকে উত্তেজিত করে, তবে অবশ্যই তারা পাপ করছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, কেরলে শুধু গত বছর ২,৬৫৮টি ধর্ষণের ঘটনা পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি কলেজে মহিলাদের পোশাকের ওপর জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। তামিলনাড়ুতেও দেখা যাচ্ছে একই ছবি।