তিরুঅনন্তপুরম: যৌনাঙ্গটা তো কোনও কাজে লাগত না। খামোখা পড়ে ছিল। তাই ওটা তিনি নিজের হাতেই কেটে বাদ দিয়েছেন। একাধিকবার ধর্ষণের জন্য তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে দিয়েছেন বলে কেরলের তরুণী যে অভিযোগ করেছেন, তা এভাবেই অস্বীকার করলেন অভিযুক্ত গডম্যান।


২২ বছরের আইনের ছাত্রী অভিযোগ করেন, ৭ বছর ধরে ওই গডম্যান বারবার ধর্ষণ করেছেন তাঁকে। কিন্তু গডম্যানের দাবি, যৌনাঙ্গের ব্যবহার না থাকায় তিনি নিজেই সেটি কেটে বাদ দিয়েছেন, অতএব ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে।

কে এই গডম্যান? জানা যাচ্ছে, ৫৪ বছরের এই ব্যক্তি পদ্মানা চাত্তাম্বি স্বামী আশ্রমের বাসিন্দা। ১৫ বছর আগে এখানে তিনি যোগ দেন। তার আগে এর্নাকুলাম জেলার কোল্লেনচেরি এলাকায় চায়ের দোকান চালাতেন। এখন তাঁর ভাই চালান ওই দোকানটি।

একসময় স্থানীয় বিজেপির যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি।

কেরলের বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক চাত্তাম্বি স্বামীর জন্মস্থানের সংরক্ষণ চেয়ে আন্দোলন করে খ্যাতি অর্জন করেন এই গডম্যান। পরে কেরলের এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলির আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।

পুলিশ জানাচ্ছে, এই সময়েই অভিযোগকারিণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। পুজোআর্চা করার জন্য মেয়েটির মা বাড়িতে আমন্ত্রণ করেন তাঁকে। তিনি মহিলাকে ভরসা দেন, তাঁর পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্বামীকে সারিয়ে তোলার জন্য তাঁর ঘনঘন তাঁদের বাড়ি আসা দরকার। তখন থেকেই নাবালিকা মেয়েটিকে ধর্ষণ শুরু করেন তিনি।