শ্রীনগর: গতকাল নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে উমর খালিদ নামে যে জৈশ ই মহম্মদ জঙ্গি মারা পড়েছে, সে কাশ্মীরে একের পর এক আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল। বলছে পুলিশ। শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে গত সপ্তাহে যে হামলা হয়, তার ছকও তারই করা।

উমর খালিদের খতম হওয়াকে তাদের বড় সাফল্য বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। তাদের কথায়, এর ফলে পাকিস্তানের মাটিতে ফুলেফেঁপে ওঠা জঙ্গি সংগঠন জৈশ ই মহম্মদের চোখ-কান চলে গেল। খালিদ ছিল অন্যতম বিদেশি জঙ্গি যে দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরে চালাচ্ছিল তার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। ২০০৯ থেকে কাশ্মীরে ছিল সে, গোটা রাজ্যের খুঁটিনাটি জানত।

বুরহান ওয়ানির মত খালিদের মৃত্যুর কারণও তার একাধিক প্রেম। তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এমন এক তরুণী পুলিশকে তার ব্যাপারে জানিয়ে দেয়। বলে, সম্ভবত সোমবার সকালে খালিদ উত্তর কাশ্মীরের লাডুরায় তার সঙ্গে দেখা করতে আসবে। মেয়েটি রেগে তাকে সম্বোধন করে ‘জাহান্নাম’ বলে, রাগের কারণ, খালিদের তার পাশাপাশি আরও বহু মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক।

নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয় খালিদ। অল্প সময়ের জন্য গা ঢাকা দিতে সক্ষম হয় সে। কিন্তু তারপরেই বাহিনী তাকে ঘিরে ফেলে খতম করে দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, খালিদের অন্তত ১৭টি গার্লফ্রেন্ড ছিল- কয়েকজন নতুন, কয়েকজন পুরনো। যাদের সে প্রতারণা করেছিল, তারা প্রতিশোধের ছক কষে। পুলিশের হাতে তারাই তুলে দেয় তার সম্পর্কে নানা তথ্য।

নিরাপত্তা বাহিনী জানাচ্ছে, পাকিস্তান থেকে আসা বহু জঙ্গিই কাশ্মীরের তুলনামূলকভাবে শিক্ষিত মেয়েদের প্রেমে পড়ে। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার সময় সাধারণত একাই যায় তারা। আর তখনই তাদের ওপর অপারেশন চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এভাবেই অগাস্টে খতম হয় লস্কর ই তৈবা জঙ্গি আবু দুজানা। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিল সে, তার কথাও পুলিশকে বলে দেয় তার এক প্রাক্তন প্রেমিকা।