নয়াদিল্লি: দিল্লিতে কঙ্গোর এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে বর্ণবিদ্বেষের যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

 

অন্যদিকে, হায়দরাবাদে গাড়ি পার্কিং নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে বচসার জেরে এক নাইজেরিয়ান যুবকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও বর্ণবিদ্বেষমূলক হামলা নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তেলঙ্গানা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল অনুরাগ শর্মা বলেছেন, বচসার জেরেই ওই নাইজেরিয়ান যুবককে আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।

 

মঙ্গলবার সুষমা, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ, বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর এবং উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি এবং ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে সুষমা বলেন, কঙ্গোর যুবক মাসোন্দা কেতাদা অলিভারের হত্যাকাণ্ড ‘বর্বরোচিত’ কাজ। তবে এর সঙ্গে বর্ণবিদ্বেষের কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, স্থানীয় যাঁরা অলিভারকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন তাঁরাও আক্রান্ত হন। ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে এই মামলার বিচার হবে এবং অপরাধীদের কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে।

 

দেশবাসীকে ‘সংবেদনশীলন’ করে তোলার জন্য প্রচার চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যেই আফ্রিকানদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে। বিশেষ করে যে অঞ্চলগুলিতে আফ্রিকানরা বেশি থাকেন সেখানে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে সরকার।

 

দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের উপর হামলার প্রতিবাদে আফ্রিকার ছাত্ররা যন্তরমন্তরে ধর্ণার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু সরকারি আশ্বাসের পর তা বাতিল করে দিয়েছেন তাঁরা।

 

আফ্রিকার ছাত্রদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদেশ মন্ত্রকের সচিব সহ উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। সরকার তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা ধর্ণার কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এই সিদ্ধান্তের জন্য আফ্রিকান ছাত্রদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুষমা।