নয়াদিল্লি: গোরক্ষার আবেগকে হাতিয়ার করে যেমন মানুষকে হত্যা করা মেনে নেওয়া হবে না, তেমনই প্রকাশ্যে গোহত্যারও প্রশংসা করা উচিত নয়। আজ রাজ্যসভায় গণপিটুনি নিয়ে বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে এমনই বললেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। অসুস্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বদলে তিনি জবাব দিতে গিয়ে বলেন, ‘সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। গোরক্ষার নামে কাউকেই খুন করতে দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে কোনও যুক্তি, ভাবাবেগে আঘাত লাগার ব্যাখ্যা থাকতে পারে না। সরকার এ বিষয়ে দায়বদ্ধ। যারা গণপিটুনির সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রতি কোনওরকম সহানুভূতি দেখানো চলবে না। আইন নিজের পথে চলবে।’


বিরোধী দলগুলি গোরক্ষকদের তাণ্ডবের জন্য আরএসএস-কে দায়ী করেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিচারিতা করছেন। তিনি গোরক্ষকদের ঠেকানোর জন্য কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। এই আক্রমণের জবাবে জেটলি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তিনবার গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সরকার গোরক্ষার নামে মানুষ খুনের নিন্দা করেছে। কারও আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার নেই। হিংসা কোনও দলের একার বিষয় হতে পারে না। হিংসার কোনও ব্যাখ্যা হতে পারে না। কংগ্রেসের এক মুখ্যমন্ত্রীর এত স্পর্ধা, তিনি বলেছেন সুযোগ পেলে গোমাংস খাবেন। কেরলে যেভাবে গোহত্যা করে গোমাংস উৎসব করা হয়েছে, সেটা ট্রেনে একজনকে পিটিয়ে মারার মতোই ক্ষতিকর।’

গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে যে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা, সেটাও খারিজ করে দিয়েছেন জেটলি। তিনি বলেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গণপিটুনির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এখন জেলে আছে। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও যদি-কিন্তু নেই।