নয়াদিল্লি: নিয়ন্ত্রণরেখায় চাপানউতোর বৃদ্ধির মাঝেই ফের নতুন দ্বৈরথের সম্মুখীন ভারত ও পাকিস্তান। এবারের ইস্যু কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।


দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রকল্পকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছে পাকিস্তান।

এই প্রসঙ্গে একদিকে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে কোর্ট অব আর্বিট্রেশন (আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত) গঠন করার দাবি তুলেছে। অন্যদিকে, নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে মীমাংসার পক্ষপাতী ভারত।

সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে তৈরি হওয়া এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটিকে ঘিরে ইসলামাবাদের দাবি, এই প্রকল্পের রূপায়ণে দুদেশের মধ্যে হওয়া সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি অনুসরণ করা হয়নি।

যদিও, পাকিস্তানের দাবি খারিজ করে ভারতের পাল্টা দাবি, কোনও চুক্তি ভঙ্গ করা হয়নি। এই প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে ভারত দরবার করে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে খতিয়ে দেখার দাবি তোলে।

ভারতের মতে, প্রকল্পে কোনও জটিলতা নেই। চুক্তিও ভঙ্গ করা হয়নি। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, বিশদে বুঝতে হলে কোনও ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে পরখ করানো উচিত। কারণ, বাঁধের প্রযুক্তিগত বিষয়গুলি কোনও আইনজ্ঞর পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।

পাকিস্তানের দাবি, ভারত যেভাবে বাঁধের নকশা করেছে, তাতে কিষাণগঙ্গার জল সোজা ঝিলম নদীর অববাহিকায় অবস্থিত বিদ্যুৎ প্রকল্পে চলে যাবে। এতে, আখেরে পাকিস্তানের ভাগের জল কমবে। এই নিয়ে ২০১০ সালেও আন্তর্জাতিক সালিশি সভার দ্বারস্থ হয়েছিল তারা।

পাকিস্তানের আরও দাবি, ভারতের প্রকল্পের ফলে নীলম-ঝিলম নদীর ওপর তাদের নিজস্ব জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও ধাক্কা খাবে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, পাকিস্তানে ঝিলম নদী নীলম নামে পরিচিত। তবে, ২০১৩ সালে ভারতের পক্ষেই রায় দেয় আন্তর্জাতিক সালিশি সভা।

এবার ফের একবার সেই আন্তর্জাতিক সালিশি সভার দ্বারস্থ পাকিস্তান। ৩৬০ মেগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন কিষাণগঙ্গা প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে।