আমদাবাদ: গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোডনানির বিরুদ্ধে ২০০২-এর নরোদা গামের দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বিশেষ সিট আদালতে জানালেন, ঘটনার দিন সকালে মায়া বিধানসভায় ছিলেন, হিংসাস্থলে ছিলেন না, মায়ার সঙ্গে বিধানসভা অধিবেশনে দেখা হয়েছিল তাঁর।

গোধরায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের পরদিন, ২০০২-এর ২৮ ফেব্রুয়ারি আমদাবাদের নিকটবর্তী নরোদা গামে হিংসার বলি হন ১১ জন মুসলিম। এই মামলায় বিচার হচ্ছে ৮২ জনের। অভিযুক্তদের অন্যতম কোডনানির বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, খুন সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

কোডনানি গত এপ্রিল অমিতকে তাঁর হয়ে সাক্ষ্য দিতে ডেকে পাঠানোর আবেদন করেছিলেন। তাতে সায় দিয়ে গত মঙ্গলবার বিজেপি সভাপতিকে তলব করে আদালত।

সোমবার বিশেষ সিট আদালতের বিচারক পি বি দেশাইয়ের সামনে বিজেপি সভাপতি জানান, বিধানসভার পর সোলা সিভিল হাসপাতালেও তাঁর সঙ্গে কোডনানির দেখা হয়েছিল। উত্তেজিত জনতা হাসপাতাল ঘেরাও করায় তাঁদের দুজনকে কিছুটা দূরে নিরাপদ স্থানে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকে কোডনানি কোথায় যান, তিনি জানতেন না।

কোডনানি আগেই দাবি করেন, তিনি ঘটনার দিন সকালে বিধানসভা থেকে সোলা সিভিল হাসপাতালে গিয়েছিলেন, হিংসার জায়গায় ছিলেন না। সে সময় অমিতও ছিলেন বিধায়ক। তিনিও ছিলেন ওই হাসপাতালে, যেখানে সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগে মৃত করসেবকদের দেহ গোধরা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল।

বিজেপি সভাপতির এদিনের সাক্ষ্য মায়ার দাবিই প্রতিষ্ঠিত করল।

২০০২ এর বিধায়ক কোডনানি ২০০৭-এ নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রী হন।

তিন সপ্তাহ আগেই সুপ্রিম কোর্ট ৪ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করতে বলেছে। তত্কালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নিম্ন আদালতকে দু মাসের মধ্যে অভিযুক্ত পক্ষের সাক্ষীদের বয়ান নথিভূক্ত করার কাজ শেষ করতেও বলেছে।

প্রসঙ্গত, কোডনানি নরোদা পাটিয়া দাঙ্গা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তাঁর ২৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। ৯৬ জন সেই দাঙ্গায় প্রাণ হারান।