নয়াদিল্লি: ব্রিটেনের কাছে থাকুক মহামূল্যবান কোহিনূর রত্ন। সুপ্রিম কোর্টে বলল ভারত সরকার। কংগ্রেস এমপি শশী তারুর কিছুদিন আগেই কোহিনূর ভারতের হাতে ফিরিয়ে দিতে ব্রিটেনের  কাছে  দাবি জানানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু সোমবার প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমারের বক্তব্যে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে।

 

তিনি বলেন, কোহিনূর চুরি হয়নি বা জোর করে কেড়েও নেওয়া হয়নি। তাই তা ফেরত্ নেওয়ার দাবি তোলা বা চেষ্টা করা উচিত নয় ভারতের। ১০৫ ক্যারেটের ওই হিরে মহারাজা রঞ্জিত সিংহই ১৮৫০ সালে শিখ যুদ্ধে সাহায্যের ক্ষতিপূরণ হিসাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ঘটনাচক্রে কোহিনূর মামলায় পক্ষ করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রককেও। যদিও তাদের বক্তব্য জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল। তবে সুপ্রিম কোর্ট সলিসিটর জেনারেলকে সতর্ক করে দিয়ে বলে, আপনারা কি কোহিনূর ফেরত চাওয়ার মামলাটি বন্ধ করে দিতে চান? সরকার কোহিনূর ফেরত চায় কিনা, জানতে চান বিচারপতিরা। সলিসিটর জেনারেল বলেন, কোহিনূরের মতো সম্পদ অন্য বিভিন্ন দেশ থেকে যদি ফেরত চাই, তবে তারাও প্রত্যেকে ওদের সম্পদ আমাদের কাছে ফেরত চাওয়া শুরু  করবে। তাহলে আমাদের মিউজিয়ামে কিছুই আর থাকবে না!

তখন বেঞ্চ বলে, আমরা জানতে চাই, সরকার দাবি পেশ করতে চায় কিনা। আমরা কোহিনূর ফেরতের পিটিশনটি খারিজ করতে চাই না। যদি করি, তবে ব্রিটেন বলতে পারে, ভারতের সুপ্রিম কোর্টেই তো আর্জি বাতিল হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সরকারের ন্যায্য দাবিও খারিজ হয়ে যেতে পারে। সমস্যায় পড়বে সরকার।

কেন্দ্রকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাদের জবাব বিস্তারিত জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

 

প্রসঙ্গত, অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোস্যাল জাস্টিস ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠনের পেশ করা পিটিশনের শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই এই অবস্থান জানান তিনি। সংগঠনটির দাবি, ভারত সরকারকে কোহিনূর ফেরত চাইতে হবে। ৯ এপ্রিল কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চেয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।

 

ঘটনাচক্রে ২০১৩ সালেই ব্রিটিশ সরকার কোহিনূর ফেরত দেওয়ার দাবি খারিজ করে দেয়।