খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন কেরলের চচকাইয়ের বাসিন্দা ৮২ বছরের বিক্রমণ। চিকিৎসকরা তাঁকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করেন। এই গভীর শোকের মধ্যেও, বিক্রমণের পরিবার স্থির করে তাঁর লিভার (যকৃৎ) দান করার। সেই অনুযায়ী, স্থানীয় কেআইএমএস হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বিক্রমণের লিভার তাঁর অর্ধেক বয়সী এক রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়।
হাসপাতালের সিএমডি এম আই শাহদুল্লা জানান, বয়স সত্ত্বেও বিক্রমণ সুস্থ ছিলেন। তাঁর কোনও রোগ ছিল না। অন্যদিকে, ক্রনিক লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন গ্রহীতা। বিক্রমণের পরিবার যে উদারতা দেখিয়েছে, তার জন্য ওই ব্যক্তি নতুন জীবন পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তির দেহে বিক্রমণের লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তাঁর বয়স ৪৪ বছর।
সম্প্রতি, কলকাতায় দেখা গিয়েছে এই চিত্র। সত্তরোর্ধ্ব শোভনা সরকারের ব্রেন ডেথ হওয়ার পর তাঁর দুটি কিডনি, দুটি চোখ এবং লিভার দান করেন বৃদ্ধার ছেলে। এই মহান দানে নতুন জীবন পান চারজন। দু’জন রোগীকে দেওয়া হয়েছে দু’টি কিডনি। কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের জন্য শোভনা সরকারের দু’টি চোখ দেওয়া হয়েছে দু’জনকে।
কাশীপুরের বাসিন্দা ৩০ বছরের শেখ ফিরোজউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন কিডনির অসুখে। শেষে শোভনার দেওয়া কিডনি প্রাণ বাঁচাল তাঁর। একই অভিজ্ঞতা রামগড়ের বাসিন্দা কেয়া রায়ের। বছর তিরিশের কেয়ার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে যায়। চলছিল কিডনির খোঁজ। শোভনা সরকারের কিডনি কেয়াকে নতুন জীবন দিয়েছে।