নয়াদিল্লি: চিফ মিনিস্টার নন, কুমারস্বামী হলেন কংগ্রেসের এটিএম-এর ‘চিফ ম্যানেজার’। গতকাল কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এভাবেই কটাক্ষ করল বিজেপি।
গতকাল, জেডিএস নেতা কুমারস্বামী বেঙ্গালুরুতে জানান, তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন কংগ্রেসের দয়ায়। কর্নাটকের সাড়ে ছ’কোটি মানুষ তাঁকে আশীর্বাদ করেননি। তাঁর স্বীকারোক্তি, আমার সরকারের নিজের জোর নেই। মানুষকে অনুরোধ করেছিলাম, আমাকে সমর্থন করতে যাতে তাঁরা ছাড়া আরও কারও চাপে আমায় পড়তে না হয়। কিন্তু এখন আমি কংগ্রেসের দয়ায় রয়েছি। কর্নাটকের সাড়ে ছ’কোটি মানুষের দয়ায় নয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বিস্ফোরক মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সদ্য-নিযুক্ত জোট সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে গেরুয়া শিবির। এদিন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, এর চেয়ে (স্বীকারোক্তি) কিছুই দুঃখের হতে পারে না। এর ফলে দেশের গণতান্ত্রের সম্মানহানি এবং অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিজেপির দাবি, কং-জেডিএস-এর এই জোট সরকার জনতার ইচ্ছার পরিপন্থী। ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে জোর করে এঅ সরকার গঠন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সদ্যসমাপ্ত কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসলও, সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়।
২২২ আসনের মধ্যে বিজেপি জেতে ১০৪ আসনে। কিন্তু, সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকায় আস্থাভোটের আগেই বিজেপি সরকারের পতন হয়। ইস্তফা দেন ইয়েদুরাপ্পা। এরপরই, সরকার গঠন করে কং-জেডিএস জোট। সম্বিতরে দাবি, কংগ্রেসের কাছে কর্নাটক হল এটিএম, আর কুমারস্বামী হলেন তার প্রধান ম্যানেজার। তিনি অভিযোগ করেন, কর্নাটক শাসিত হবে ১০ জনপথ থেকে।
সম্বিত বলেন, কুমারস্বামীর বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার যে, কর্নাটকে নিজেদের এটিএমের জন্য একজন চিফ ম্যানেজার পেয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। এখন মানুষের প্রশ্ন, কুমারস্বামী যদি চিফ ম্যানেজার হন, তাহলে চিফ মিনিস্টার কে?
এপ্রসঙ্গে সম্বিত মনে করিয়ে দেন মনমোহন সিংহের কথা। জানান, একটা সময় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের মুখে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছিলেন, জোট সরকার চালানোর অনেক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সম্বিত বলেন, কুমারস্বামীর গলায় সেই কথা ফের শোনা যাচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতা হিসেবে রাহুল গাঁধীকে পছন্দ করছে না।