আজ কৃষকদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং কৃষকদের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন কুমারস্বামী। এই বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, ‘আমরা ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। ১৫ দিনের মধ্যেই কৃষিঋণ মকুব করা হবে। যত সমস্যাই আসুক না কেন, আমাদের সরকার রাজকোষের শৃঙ্খলা এবং একইসঙ্গে আপনাদের (কৃষক) রক্ষা করার বিষয়ে দায়বদ্ধ।’
কর্ণাটকের বিজেপি প্রধান বি এস ইয়েদুরাপ্পা এই ইস্যুতে কুমারস্বামীকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কুমারস্বামী কৃষকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, ১৫ দিনের মধ্যে ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের ঋণ মকুব করে দেবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি কৃষকদের কথা ভাববেন। কিন্তু তিনি ৫৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ মকুব করার কথা বলেছিলেন। তিনি কি রাজনৈতিক নাটক করছেন? রাহুল গাঁধীকে যদি জিজ্ঞাসা করতে হয়, তাহলে আপনি (কুমারস্বামী) কেন নির্বাচনের আগে ৫৩,০০০ কোটি টাকা কৃষিঋণ মকুব করার কথা বলেছিলেন? আপনি কেন দিল্লিতে বলেছিলেন, কৃষিঋণ মকুব করতে না পারলে পদত্যাগ করবেন? আপনি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। কোনও কৃষক আপনাকে বিশ্বাস করবেন না। আমি আপনার বিশ্বাসঘাতকতার নিন্দা করছি। আপনার প্রতিশ্রুতির কী হল? যদি রাষ্ট্রায়ত্ত, সমবায় বা অন্যান্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ মকুব না করেন, তাহলে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকে দ্রুত কৃষকদের প্রতি আপনার বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করব। কৃষিঋণ মকুবের কথা ঘোষণা না করা পর্যন্ত আমরা কোনওমূল্যেই বিক্ষোভ বন্ধ করব না।’