বেঙ্গালুরু: # আস্থাভোট শুরুর আগেই ওয়াকআউট করলেন বিজেপি বিধায়করা। ফলে ধ্বনিভোটেসহজেই জয় পেলেন এইচ ডি কুমারস্বামী।

কর্নাটক বিধানসভায় আস্থাভোট চাইলেন এইচ ডি কুমারস্বামী। এক লাইনের আস্থাপ্রস্তাব পেশ করেন তিন দিনের কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারই শপথ নিয়েছেন তিনি। শক্তির বিচারে মসৃণ ভাবেই জয় পাওয়ার কথা তাঁর। সংখ্যার বিচারে পাল্লা ভারী তাঁরই। মোট ১১৭ বিধায়ক আছেন তাঁর শিবিরে।
কংগ্রেসের ৭৮জন বিধায়ক, জেডি (এস)এর ৩৬ ও বিএসপি-র ১ জন বিধায়ক। একমাত্র কেপিজেপি বিধায়ক ও এক নির্দল বিধায়কও তাদের সঙ্গে আছেন বলে দাবি জোটের।
প্রসঙ্গত, কুমারস্বামী দুটি কেন্দ্রে জিতেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার দুদিন বাদে গত ১৯ মে ইয়েদুরাপ্পা প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় না হওয়ায় আস্থাভোটের মুখেই পদত্যাগ করেন। বিজেপির ১০৪ জন বিধায়ক। কিন্তু ২২৪ সদস্যের কর্নাটক বিধানসভায় ভোট হওয়া ২২১টি আসনের মধ্যে সরকার গড়ার জন্য দরকার ১১২জন বিধায়কের সমর্থন ছিল না তাঁর।

এদিন আস্থাভোটের আগেই কংগ্রেসের মনোবল চাঙ্গা করে দেয় স্পিকার পদে সর্বসম্মতিক্রমে কংগ্রেসের কে আর রমেশ কুমারের জয়। বিজেপি তাদের প্রার্থী এস সুরেশ কুমারকে লড়াই থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। সুরেশ জানান, তিনি বিজেপি নেতৃত্বের নির্দেশে সরে দাঁড়ালেন, ট্যুইটও করেন, পার্টি বলেছিল, তাই স্পিকার পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। এখন দলে আলোচনা হয়েছে, সংসদীয় রীতি মেনে সর্বসম্মতির ভিত্তিতেই স্পিকার নির্বাচিত হওয়া উচিত। আমি মনোনয়ন তুলে নিচ্ছি। বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পাও বলেন, স্পিকার পদের মর্যাদা বহাল রাখতেই আমরা সর্বসম্মত নির্বাচন চাই। স্পিকার নির্বাচিত হয়েই বিজেপি পরিষদীয় নেতা ইয়েদুরাপ্পাকে বিরোধী নেতা বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন তিনি।