নয়াদিল্লি: ৩ তারিখ শেষ হচ্ছে না লকডাউন। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী তা আরও ২ সপ্তাহ বেড়ে ১৭ মে পর্যন্ত চলবে। সারা দেশেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যার ফলে রেল, সড়ক কিংবা বিমান, কোনও পরিষেবাই স্বাভাবিক হবে না। সীমান্ত অঞ্চল কিংবা গ্রিন জোনে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হলেও রাজ্য থেকে রাজ্য, বাণিজ্য এখনও পর্যন্ত থমকে। এই পরিস্থিতিতে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে সুরা প্রস্তুতকারক শিল্প।


২৫ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। তা দ্বিতীয় দফায় বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করা হয়। চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্র জানিয়ে দেয় তা আরও বাড়িয়ে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত করা হচ্ছে। যার ফলে দেশের অন্তত ২৫০ সুরা প্রস্ততকারক সংস্থার আট লাখ লিটার বিয়ার কার্যত নষ্ট হতে চলেছে।


দিল্লি বাদে দেশের উত্তর দিকের একাধিক রাজ্যে প্রায় ১.২ মিলিয়ন ভারতে তৈরি ফরেন লিকারের কেস ঘরবন্দি হয়েই পড়ে রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৭০০ কোটি টাকা। সেই সুরা আগামী অর্থবর্ষে বিক্রির জন্য আবেদেন করেছে অনেক সংস্থা। যদিও এই বিষেয়ে সরকারি তরফে কোনও নির্দেশিকা এখনও আসেনি।


এদিকে বিয়ার সংরক্ষণ করতে না পেরে হাজার হাজার লিটার বিয়ার নর্দমায় ফেলতে হচ্ছে একাধিক সংস্থাকে। সতেজ বিয়ারের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে এবং তা সংরক্ষণের জন্যও প্রয়োজন হয় নির্দিষ্ট তাপমাত্রার। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না থাকার কারণে তা সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার যদি এখনই কোনও বন্দোবস্ত না করে, তাহলে প্রায় আট লক্ষ লিটার বিয়ার সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হবে এবং তা নর্দমায় ফেলতে হবে।


ভারতের সুরা প্রস্ততকারক সংস্থার চেয়ারম্যান নকুল ভোঁসলের বক্তব্য, “নতুন করে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার কিছু জায়গায় ছাড় দিয়েছে। কিন্তু বিয়ার বার, ক্লাব খোলার ক্ষেত্রে ছাড় নেই।”


তাছাড়াও, সারা দেশে সুরা প্রস্ততকারক সংস্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে ৫০ হাজার শ্রমিক যুক্ত। শিল্পে মন্দা দেখা দিলে এদের অনেকেরই কাজ হারানোর আশঙ্কাও থাকছে বলে মত ওয়াকিবহল মহলের।