গতকাল সন্ধ্যায় জেডিইউ-এর সঙ্গে জোট ভাঙার পরেই আজ সকালে ষষ্ঠবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন নীতীশ। এরপরেই তাঁকে আক্রমণ করে লালু বলেছেন, ‘নীতীশ কুমার সুবিধাবাদী। বিহারের মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। শুধু সেই জনমতই নয়, দেশের মানুষের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতীশ। ২০১৫ সালে ভোটের আগে যখন বুঝতে পেরেছিলেন, একার ক্ষমতায় ভোটে জিততে পারবেন না, তখন আমার সাহায্য চাইতে এসেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, সংখ্যালঘু ও সমাজের পিছিয়ে থাকা অংশের মানুষ আরজেডি-কে সমর্থন করেন।’
বিহারের সদ্য প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা পুত্র তেজস্বীর পাশে দাঁড়িয়ে লালু বলেছেন, ‘তেজস্বী গত ২০ মাস ধরে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিল। কেউ কি ওর বিরুদ্ধে একটাও দুর্নীতির ঘটনার প্রমাণ দিতে পারবে? ও কোনও অন্যায় করেনি। আর যদি কিছু করেও থাকে, তাহলে আদালত বিচার করবে। ওকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলার নীতীশরা কে? নীতীশ অকৃতজ্ঞ। শুধু আমার বদনাম করার জন্যই সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরকে দিয়ে আরজেডি নেতা ও আমার পরিবারের লোকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর জন্য বিজেপি-র সঙ্গে জোট বেঁধেছেন নীতীশ।’
বিহারের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন লালু। তাঁর দাবি, সবচেয়ে বেশি বিধায়ক থাকায় আরজেডি-কেই প্রথমে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানানো উচিত ছিল। আরজেডি সরকার গঠন করতে না পারলে জেডিইউ-কে ডাকতে পারতেন রাজ্যপাল। কিন্তু তিনি বিজেপি-র নির্দেশে কাজ করেছেন। এই কাজ এত তড়িঘড়ি করা হয়েছে যে শপথ গ্রহণের সময় বিকেল পাঁচটার বদলে সকাল দশটায় এগিয়ে আনা হয়েছে। আরজেডি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছে।