রাঁচি: জামিনের জন্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশুখাদ্য মামলায় জেলবন্দি লালুপ্রসাদ যাদব। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যই ঝাড়খণ্ড উচ্চ আদালতে এই মর্মে আবেদন করবেন আরজেডি সুপ্রিমো। লালুপ্রসাদের আইনজীবী প্রভাত কুমার বলেন, আমরা নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখে হয় শুক্রবার বা আগামী সোমবার উচ্চ আদালতে আবেদন জানাব।


দুদশক পুরনো পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। লালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে দেওঘর কোষাগার থেকে অবৈধভাবে প্রায় ৮৯ লক্ষ টাকা বেআইনিভাবে তোলা হয়েছিল। গত ২৩ ডিসেম্বর লালুপ্রসাদকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ সিবিআই আদালত। গত সপ্তাহে, তাঁকে সাড়ে তিন বছরের হাজতবাসের সাজা দেন বিচারক।


প্রসঙ্গত, এই এবারের নিয়ে এই কেলঙ্কারিতে দ্বিতীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এর আগে, ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৬৯ বছরের লালুপ্রসাদকে আরেকটি পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সেবার অভিযোগ ছিল, বেআইনিভাবে চাইবাসা ট্রেজারি থেকে বেআইনিভাবে ৩৭.৭ কোটি টাকা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আদালত লালুপ্রসাদকে পাঁচ বছরের হাজতবাসের সাজা দিয়েছিল। কিন্তু, আড়াই মাস জেলে কাটানোর পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান লালু।


বিহারেরর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও তিনটে পশুখাদ্য মামলা ঝুলে রয়েছে। সেগুলি হল—ডুমকা ট্রেজারি থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা প্রত্যাহার, চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৬ কোটি টাকা প্রত্যাহার এবং ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে ১৮৪ কোটি টাকা প্রত্যাহার।


এদিকে, রবিবারই মারা যান লালুপ্রসাদের একমাত্র বোন গঙ্গোত্রীদেবী। লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী জানান, কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বোনের মৃত্যুর খবর পৌঁছে দেওয়া হয় জেলবন্দি লালুপ্রসাদের কাছে।