শ্রীনগর: গত ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীনগরের এসএমএইচএস হাসপাতালে জঙ্গি হামলা এবং তার পর এক লস্কর জঙ্গি পালানোর ঘটনায় পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পেরেছে, লস্কর জঙ্গি নাভেদ জাটকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়ানোর জন্যে গত ৪ মাস ধরে ছক কষা হয়েছিল। হাসপাতালের কাছে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে সেখানে একটি পালসার মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে রয়েছে। একবার সেই বাইকের মালিককে গ্রেফতার করতে পারলেই, পুরো ছক পুলিশের সামনে পরিস্কার হয়ে যাবে।


সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে হাসপাতালের বাইরে সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারমধ্যে একজন টিক্কা খান, অপরজন শাকিল। ওই দুই জঙ্গির ফোন কল খতিয়ে দেখিয়েই জানা গিয়েছে, এরা দুজনেই সক্রিয় লস্কর জঙ্গি। এদের দুজনেরই লস্করের এক হিলাল নামের জঙ্গির সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ ছিল। টিক্কা আবার এক নিরাপত্তা সংস্থার হয়েও কাজ করত। সেখান থেকেই তথ্য পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল টিক্কা।

সিসিটিভি ফুটেজেই দেখা গিয়েছে, কীভাবে সেদিন নাভেদের পালানোর ছক সফল করে জঙ্গিরা।

সেদিনের হামলার পর কাশ্মীর পুলিশের বিভিন্ন কিছু পদে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। ঘটনার পর সাসপেন্ড করা হয়েছে শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিলাল আহমেদ রাথকে। তাঁর বিরুদ্ধে শীঘ্রই তদন্ত শুরু হবে। ট্রান্সফার করা হয়েছে জেলের ডিরেক্টর জেনারেল এস.কে.মিশ্রকে, তাঁকে জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ হাউসিং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। এডিজি মুনির খানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সিকিউরিটি এবং হোম গার্ডের এডিজি পদে। দক্ষিণ কাশ্মীরের ডিআইজি এস.পি পানিকে কাশ্মীরের আইজি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।