সম্প্রতি, ভট্টের কৌতুক ও তাকে ঘিরে শুরু হওয়া বিতর্ক সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ওই সংবাদপত্রে। সেখানে সুরের সম্রাজ্ঞীকে ‘মামুলি কণ্ঠশিল্পী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ভট্টের মূল ভিডিও, যেখানে লতাকে ‘ব্যঙ্গ’ করা হয়েছে, তা নিয়ে ওই প্রতিবেদনে বেশি শব্দ খরচ করা হয়নি। বরং, ওই ভিডিওকে ফেসবুক বা ইউটিউবের মতো সোশ্যাল সাইট থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মুম্বই পুলিশের আবেদনকে আক্রমণ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্ন্যাপচ্যাট’ অ্যাপের ফেস-সোয়্যাপ ব্যবহার করে মাধ্যমে ভারতের জনপ্রিয় ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর, যিনি ২০১৩ সালে অবসর নিয়েছেন এবং বলিউডের তথাকথিত কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকরকে নকল করা হয়েছে।
এখানেই থেমে না থেকে কণ্ঠশিল্পী কী, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কণ্ঠশিল্পীরা গানে ও নাচের সিকোয়েন্সে গলা দেন, যাতে অভিনেতারা লিপ-সিঙ্ক করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও, ভারত সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে এই সংবাদপত্র। ২০১৪ সালে ‘ইন্ডিয়াজ বাজেট মিশন টু মার্স’ শীর্ষক একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশিত হয় ওই সংবাদপত্রে। সেখানে এক পাগড়ি-পরিহিত ভারতীয়কে গরুকে সঙ্গে নিয়ে দেখা যায় একটি দরজায় কড়া নাড়ছেন। দরজায় লেখা, এলিট স্পেস ক্লাব।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয় সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষকে। যার জেরে, সংস্থার তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়। তারা জানায়, ব্যঙ্গচিত্রের ছবির চয়নে যদি কেউ অখুশী হন, তাহলে সংবাদপত্র দুঃখিত। আরও বলা হয়, তারা কখনই ভারত, বা সেদেশের সরকার অথবা ভারতীয়দের কটাক্ষ করতে চায়নি।