নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি যখন টানা দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর আজ লিটারপ্রতি মাত্র এক পয়সা কমিয়েছে, ঠিক তখনই সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য শুক্রবার থেকে লিটারপ্রতি এক টাকা কমানোর কথা ঘোষণা করল কেরল সরকার। দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে এই উদ্যোগ নিল পিনারাই বিজয়ন সরকার। এই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছে বাম দলগুলি। তাদের দাবি, কেরলকে দেখে শিক্ষা নিক কেন্দ্র এবং পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমাক।



সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ট্যুইট করে বলেছেন, ‘কোনও বিজেপি সরকার এখনও পর্যন্ত এটা করেনি। কেরলের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা উচিত মোদীর। অন্তত ২০১৪ সালের আগে যা ছিল, পেট্রোপণ্যের উপর থেকে ততটা কর তুলে নেওয়া উচিত। ৯ বার বাড়া অন্তঃশুল্ক অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।  পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যেও মানুষের দুর্ভোগের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর মনোভাব অবিকল কেন্দ্রে মোদীর মতো। তাঁরা মানুষের যন্ত্রণা কমানোর জন্য কিছুই করছেন না।’



সিপিআই-ও পেট্রোপণ্যের দাম বাড়া নিয়ে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেছে। সিপিআই নেতা ডি রাজা বলেছেন, ‘সরকার ও তেল সংস্থাগুলি কী করছে? সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা ও কষ্ট নিয়ে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। এতে সরকারের অসংবেদনশীলতা এবং পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোখার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা প্রকট হয়ে গিয়েছে।’



আজ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পেট্রোপণ্যের দাম কমানোর ফলে রাজ্য সরকারের ৫০৯ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। এর মাধ্যমে আমরা বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে বার্তা দিতে চাই। সারা দেশ যখন দাম কমানোর দাবি জানাচ্ছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করেনি।’

কেরল সরকারের অর্থ দফতর সূত্রে খবর, এই রাজ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর সারা দেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ কর নেওয়া হত। তবে এবার সেই করের বোঝা কমানো হচ্ছে। তার ফলেই কেরলে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমবে।