এই ঘটনার সঙ্গে আফগানিস্তানের বামিয়ানে বুদ্ধমূর্তি ধ্বংসে তুলনা টানা হয়েছে। ২০০১-এ বামিয়ানের মূর্তি ভেঙে ফেলেছিল তালিবান জঙ্গীরা। প্রাচীন যুগে পাহাড়ের চুনাপাথর কেটে নির্মিত বিশ্বের অন্যতম বিশালাকার বুদ্ধিমূর্তি তালিবান ডিনামাইট ফাটিয়ে ভেঙে ফেলেছিল। এই পৈশাচিক ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। বিশ্বখ্যাত বামিয়ান বুদ্ধ চোদ্দ বছর পর পুনর্নিমিত হয়।
এক ট্যুইটারেটি বলেছেন, 'পছন্দ না হলে লেনিনের মূর্তি সরাতে চাই অন্যত্র সরাতেই পারেন। কিন্তু এজন্য সভ্য নিয়ম অনুসরণ করে সরানো যেতে পারত। মাথা দিয়ে ফুটবল খেলার কী প্রয়োজন ছিল? তাহলে আমাদের সঙ্গে যারা বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল, সেই অশিক্ষিত তালিবানের পার্থক্যটা কী?'
একজন প্রশ্ন করেছেন, 'লেনিনের মূর্তি ভেঙে দিলে কি ত্রিপুরার যুবকদের চাকরি দেওয়া যাবে'।
আশুতোষ লিখেছেন, 'এটা কি ভারতের বামিয়ান মুহূর্ত? তালিবান যেমন আফগানিস্তানে করেছিল, সেই ধারাই গড়ছে বিজেপি। আগামীকাল কেন্দ্রে ও রাজ্যে যদি কংগ্রেস বা বাম সরকার গড়ে তাহলে কি আরএসএস ও বিজেপির সমস্ত প্রতীক ধ্বংস করে দেওযা হবে? এটা বিপজ্জনক, পশ্চাদপদ, হীনমন্যতার ফল'।
অনিরুদ্ধ শর্মা নামে একজন লিখেছেন, তিনি বাম বা আরএসএস-বিজেপির মতাদর্শে বিশ্বাসী নন। কিন্তু মূর্তি ধ্বংস আফগানিস্তানের বামিয়ানের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনল।
উজমা নামে এক ট্যুইটারেটির পোস্ট- "ভারত মাতা কি জয় স্লোগান গিয়ে লেনিনের মূর্তি ভেঙে ফেলল বিজেপির উগ্র সমর্থকরা। বামিয়ানে বুদ্ধ মূর্তি এভাবেই ভেঙে ফেলেছিল তালিবান। অন্য কোনও মতাদর্শের জায়গা নেই। জঙ্গলের রাজত্বে স্বাগত"।