নয়াদিল্লি: চন্দ্রযান টু থেকে দুটি শিক্ষা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সেই শিক্ষনীয় বিষয়  দুটির  কথা জনগণকে জানালেন তিনি। এক, নিজের ওপর বিশ্বাস এবং দ্বিতীয়, নির্ভিক মনোভাব, নিঃসঙ্কোচ থাকা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চাঁদে অভিযান নিয়ে এই দুই শিক্ষাই তিনি গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে একটি ক্যুইজ প্রতিযোগিতার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।  জয়ী প্রতিযোগী চন্দ্রযানের চাঁদে অবতরণের দিন শ্রীহরিকোটায় বসে তার সাক্ষী হতে পারবে বলেই জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।


চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান পাঠিয়েছে ভারত। রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের পর ভারতই বিশ্বের চতুর্থ দেশ, যারা চাঁদের মাটিতে পা রাখার এই ‘দুঃসাহস’ দেখিয়েছে। ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর প্রথমবার চন্দ্রাভিযান করেছিল ভারত। তার এক দশক পর চলতি বছরের ১৪ জুলাই ফের একবার চন্দ্রাভিযান করতে সক্ষম হল ভারত। শুরুতে বাধা পেলেও যান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ভারত চাঁদের উদ্দেশে মহাকাশযান পাঠিয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বরে ভারতের এই মহাকাশ যান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে। ইসরো-র বিজ্ঞানীদের এই সাফল্য গোটা দেশকে গৌরব এনে দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদির কথায়, যদি তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, চন্দ্রাভিযান টু থেকে তিনি কী শিখলেন, প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন, বিশ্বাস এবং ভয়ডরহীন হয়েই অসাধ্য সাধন করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমাদের প্রতিভা ও ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস রাখা উচিত।” ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তিনি বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ  জানিয়ে বলেছেন, “আমাদের গর্ব করা উচিত, প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও যান নির্ধারিত সময়েই চাঁদে পৌঁছে যাবে।” একই সঙ্গে স্বদেশী মিশনে বিজ্ঞানীদের প্রতিভা ও দক্ষতার ওপরও আস্থা রাখার কথা বলেছেন তিনি।


উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চেই মহাকাশে এ-স্যাট মিসাইল লঞ্চ করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। তিন মিনিটের মধ্যেই তিনশো কিলোমিটার দূরে থাকা একটি স্যাটেলাইটকেও ধ্বংস করা হয়েছে। যদিও প্রাক ভোট মরশুমে এই সাফল্য নিয়ে খবর হলেও তেমন ভাবে তা চর্চিত হয়নি। তবে এবারের মিশন নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে উৎসাহ আকাশছোঁয়া। প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ২০১৯ সালে মহাকাশে রাজত্ব করবে ভারত।