নয়াদিল্লি: বিমানের সংস্কৃতি ও স্বাচ্ছন্দ্য ট্রেনেও।


এবার থেকে বিমানের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের মতো, ট্রেনেও খাওয়ার শেষে প্রত্যেক যাত্রীর কাছে ব্যাগ নিয়ে উচ্ছিষ্ট সংগ্রহ করবেন রেলের কেটারিং কর্মীরা। এই পরিষেবা সব ট্রেনেই মিলবে। আধিকারিকদের এমনই নির্দেশ দিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি।


ভ্যাক্যুম টয়লেট হোক বা খাবারের মানোন্নয়ন—একাধিক ক্ষেত্রে বিমানের মডেল অনুকরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে রেল। এবার সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হল পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রত্যেক যাত্রীর কাছে গিয়ে ব্যাগে করে খাবারের উচ্ছিষ্ট সংগ্রহ করা। ইতিমধ্যেই, বেশ কিছু ট্রেনে এই পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে।


গত ১৭ তারিখ, ডিভিসন-পর্যায়ের আধিকারিক ও বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে লোহানি জানান, বিমানের মতো, ট্রেনে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে প্যান্ট্রি কারের কর্মীরা ব্যাগে করে উচ্ছিষ্ট সংগ্রহ করবেন। তাঁর মতে, বিমানের মতো পরিচ্ছন্নতা, স্বাচ্ছন্দ্য রেল যাত্রীদের দিতে হবে। একইসঙ্গে, বিমানযাত্রীরা পরিচ্ছন্নতার যে সংস্কৃতি বজায় রাখেন, তা ট্রেনাত্রীদের মধ্যেও তুলে ধরতে হবে।


তিনি বলেন, খাওয়া হওয়ার পর ট্রেগুলি সাধারণত যাত্রীরা সিটের নীচে রেখে দেন। পরে, প্যান্ট্রি কর্মীরা একসঙ্গে হাতে করে সেগুলি নিয়ে যান। অনেক সময় তা করতে গিয়ে খাবারের টুকরো ট্রেনের কামরার মধ্যেই পড়ে যায়। পাশাপাশি, যাত্রীরা তাঁদের সঙ্গে রাখা খাবারের উচ্ছিষ্টও কামরার মধ্যেই ফেলেন। তাও বন্ধ করা লক্ষ্য।


নতুন সিস্টেমে, প্যান্ট্রি কর্মীরা বিমানের মতোই, প্রত্যেক যাত্রীর কাছে ব্যাগ নিয়ে হাজির হবেন এবং সেখানে সমস্ত খাবারের উচ্ছিষ্ট ও অন্যান্য ফেলে দেওয়া সামগ্রী সংগ্রহ করবেন। এতে, ট্রেন সাফাইকর্মীদের কাজও কিছুটা হাল্কা হবে। যে সব ট্রেনে প্যান্ট্রি কার নেই, তাতে হাউসকিপিং কর্মীরা এই কাজ করবেন।