#ভোট গণনা শুরু
# কংগ্রেসের আর্জি মেনে নিল নির্বাচন কমিশন। বাঘেলাপন্থী দুই বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কের ভোট বাতিল হবে। রিটার্নি অফিসারকে ওই দুই বিধায়কের ভোট আলাদা করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই দুই বিধায়ক হলেন ভোলা ভাই ও রাঘব পটেল। তাঁরা ক্রস ভোটিং করে ব্যালট পেপার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে দেখিয়েছিলেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং দেখে সিদ্ধা্ন্ত নিয়েছে কমিশন। এরফলে কংগ্রেস প্রার্থী আহমেদ পটেলের জয়ের রাস্তা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।এই দুই বিধায়ক বিজেপি প্রার্থী বলবন্তসিন রাজপুতকে ভোট দিয়েছিলেন। দুটি ভোট কমায় পটেলের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভোট ৪৫ থেকে কমে হল ৪৪।
বাঘেলা ঘনিষ্ঠ সাত বিধায়ক ক্রস ভোটিং করেছেন বলে জানা গেছে।
#গুজরাতে রাজ্যসভার ভোটের লড়াই নির্বাচন কমিশনের দরজায়। দফায় দফায় আনাগোনা দু’পক্ষের। বাঘেলাপন্থী দুই বিধায়কের ভোট বাতিলের দাবি কংগ্রেসের। অবিলম্বে গণনা শুরুর দাবি বিজেপির। জানা গেছে, কমিশন রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
এদিকে, জেডি-ইউ নেতা কেসি ত্যাগী জানিয়েছেন, বিধায়ক ছোটুভাই কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় দলের গুজরাতের সম্পাদককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
#কংগ্রেসের অভিযোগের পর এবার বিজেপিও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ। কংগ্রেস বাঘেলা-পন্থী দুই বিধায়কের ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছে। পাল্টা বিজেপিও কংগ্রেস বিধায়ক মিতেশ গারাশিয়ার ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
#গুজরাতে রাজ্যসভার তিন আসনের নির্বাচনে ভোট গণনায় দেরী। কারণ, কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বলেছে, তাদের দুই বিধায়ক বিজেপি ভোট দিয়ে তা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে দেখিয়েছেন। এই ঘটনা প্রোটোকল লঙ্ঘণ করেছে বলে দাবি কংগ্রেসের। ওই দুই বিধায়ক দলের হুইপও অমান্য করেছেন। কংগ্রেস ওই দুই জনের ভোট বাতিলেরও দাবি জানিয়েছে।
#দলের এক বিধায়ক ক্রস ভোটিং করলেও গুজরাতে রাজ্যসভা নির্বাচনে তাদের প্রার্থী আদমেদ পটেল জিতবেন বলেই ভোটের পর আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস। একই দাবি বিজেপিরও। কংগ্রেস-ত্যাগী শঙ্করসিন বাঘেলার দাবি, কংগ্রেসের আহমেদ পটেল ৪০ টি ভোটও পাবেন না। তিনি পটেলকে ভোট দেননি।
কংগ্রেস প্রার্থী পটেল বলেছেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, সংখ্যা তাঁদের পক্ষেই রয়েছে। ফল ভালো হবে।
#গুজরাতে রাজ্যসভার তিন আসনের নির্বাচন শেষ হল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১৭৬ জন বিধায়কেরই ভোটদান সম্পন্ন হয়েছে।
গুজরাত বিধানসভায় রাজ্যসভার তিন আসনের ভোট গ্রহণ সকাল নটায় শুরু হয়েছে। প্রথম দুটি আসনে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির জয় নিশ্চিত। কিন্তু তৃতীয় আসনে কড়া লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী আহমেদ পটেল। টানটান উত্তেজনার মধ্যে চলছে ভোট। ভোটের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে পটেলকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করলেও একজন এনসিপি বিধায়ক ভোট দিয়েছেন বিজেপিকে। অন্যজন অবশ্য কংগ্রেসকেই ভোট দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়কের মধ্যে একজন ক্রস ভোট দিয়েছেন বলে খবর। যদিও কংগ্রেস ক্রস ভোটিংয়ের খবর অস্বীকার করেছে। যদিও পরে দলের এক বিধায়কের ক্রস ভোটিংয়ের কথা কংগ্রেস স্বীকার করে। অন্যদিকে, বিধানসভায় একমাত্র জেডি-ইউ বিধায়ক ছোটু ভাই ভাসাবা পটেলকেই ভোট দিয়েছেন বলে দাবি কংগ্রেসের। গুজরাত পরিবর্তন পার্টি (জিপিপি) -র এক বিধায়কও পটেলকে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি কংগ্রেসের।
তিনি পটেলকে ভোট দিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জেডি-ইউ বিধায়ক ছোটুভাইও। তিনি বলেছেন, দেশের এখন পরজীবী ও পুঁজিপতিদের রাজত্ব চলছে। তাই বিজেপি তিনি ভোট দিতে পারবেন না।
কংগ্রেসের দাবি সঠিক হলে পটেলের জয় নিশ্চিত হবে। অর্থাত্, যে ৪৪ জন বিধায়ককে কর্নাটকে রাখা হয়েছিল, একজন বাদে যদি তাঁদের সবাই এবং এনসিপি-র এক বিধায়ক ও জেডি-ইউ বিধায়ক এবং জিপিপি-র বিধায়ক ভোট দিলে পটেলের ঝুলিতে পড়ছে প্রয়োজনীয় ৪৫-এর বেশি ভোট।
বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোট চলবে। সন্ধে সাতটা নাগাদ ফল জানা যাবে।
শঙ্করসিন বাঘেলার দাবি, পটেল হারবেন। তাঁর সমর্থক দুই কংগ্রেস বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁরা বিজেপি প্রার্থী বলবন্তসিন রাজপুতকে ভোট দিয়েছেন।
বিধানসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যার বিচারে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিবের জয় নিশ্চিত ছিল। জেতার জন্য দরকার ৪৫ টি ভোট। কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫৭। কিন্তু শঙ্করসিন বাঘেলা দল ছাড়েন। পদত্যাগ করেন কংগ্রেসের ছয় বিধায়ক।এরফলে বিধানসভায় কংগ্রেসের শক্তি কমে হয় ৫১। বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলে ৪৪ জন বিধায়ককে কর্নাটকে একটি রিসর্টে রেখেছিল কংগ্রেস।