নয়াদিল্লি: বিজয় মাল্য প্রশ্নে নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র।


শুক্রবার, সরকার জানিয়ে দিল লিকার ব্যারনকে ৮,০৪২ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করা হয়েছিল পূর্বতন ইউপিএ সরকারের আমলে। পরে, ঋণ খেলাপের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় মোদী সরকারের জমানায়।


এদিন লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে লিকার ব্যারন সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে বিজয় মাল্যর নাম না করে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার জানান, ওই ব্যক্তিকে ২০০৪ সেপ্টেম্বরে ঋণ দেওয়া হয়েছিল। পরে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তা পুনর্বিবেচিত হয়।


সন্তোষ যোগ করেন, ওই ব্যক্তিকে দেওয়া প্রায় ৮,০৪০ কোটি টাকার ঋণ ২০০৯ সালেই নন-পারফরমিং অ্যাসেট (এনপিএ) বা অচল সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। পরে, ২০১০ সালে এনপিএ-র মূল্য পুনর্বিবেচিত হয়।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যোগ করেন, আমরা (সরকার) তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি বর্তমানে ব্রিটেনে রয়েছেন। বিভিন্ন সংস্থা তাঁকে সমন পাঠিয়েছে। অর্থমন্ত্রকের অনুরোধে, বিদেশমন্ত্রক তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।


আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে সন্তোষ জানান, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৯,১৫০ জন ঋণ খেলাপকারী করেছেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া এঁদের মিলিত ঋণের পরিমাণ ৯১,১৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮,৩৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা এবং ২,০২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।