রেল ইতিমধ্যেই লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সমস্ত আগাম টিকিট সংরক্ষণ স্থগিত রেখেছে। লকডাউন পর্বে যাত্রার জন্য যাঁরা টিকিট কেটেছিলেন, ট্রেন বাতিলের জন্য বুকিংয়ের অর্থ তাঁদের পুরোটাই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে আটকে পড়া শ্রমিক, ছাত্র, তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ছয়টি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর কথা জানানো হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলির অনুরোধে এই ট্রেনগুলি চালানো হচ্ছে।
এই বিশেষ ট্রেনগুলির ভাড়া হবে স্লিপার মেল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার সঙ্গে সুপারফাস্ট চার্জ (৩০ টাকা), অতিরিক্ত চার্জ (২০ টাকা)। এরমধ্যে রয়েছে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, এই ভাড়া মেটাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার, যাত্রীরা নয়।
গত ২২ মার্চের জনতা কার্ফুর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফায় লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন। পরে তা বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করা হয়। তৃতীয় পর্বে ৪ মে থেতে ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন পর্বে দেশের গ্রিন জোন হিসেবে ঘোষিত জেলাগুলিতে বেশ কিছু বিধি নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। অরেঞ্জ জোনেও কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে রেড জোনগুলিতে বিধিনিষেধে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি।
একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে যে, রেল-মেট্রো-বিমান ও আন্তঃরাজ্য বাস চলাচল ১৭ মে পর্যন্ত বন্ধই থাকবে।