তিরুপতি: বাতিল ৫০০, ১০০০ টাকা বদলের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও হুন্ডির মাধ্যমে গত ২ মাসে ওই দুই বড় অঙ্কের নোটে ৪ কোটি টাকার বেশি দান হিসাবে জমা পড়েছে তিরুমালার ভগবান বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে। এদিকে এই মর্মে আইন চালু হয়েছে যে, ১০টির বেশি বাতিল নোট রাখলেই ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। ফলে এই নামী মন্দির কর্তৃপক্ষ এখন বুঝতে পারছে না, ওই ৪ কোটি টাকা নিয়ে কী করবে।
৩০ ডিসেম্বরের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও অগুনতি ভক্ত বৈধ নোটের পাশাপাশি বাতিল নোটও হুন্ডিতে দান করেছেন। মন্দির পরিচালনাকারী তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমস (টিটিডি)-এর এক্সিকিউটভ অফিসার ডাঃ শম্ভাশিব রাও পিটিআইকে বলেছেন, আমরা ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ভারত সরকারকে চিঠি লিখে ভক্তদের দেওয়া বাতিল নোটের কথা উল্লেখ করে কী করনীয়, জানতে চেয়েছি। জবাবের অপেক্ষা করছি।
বেঙ্কটেশ্বরের ভক্তরা সাধারণত বাড়িতে পুজোর ঘরে রাখা ছোট বাক্সে বা মাটির পাত্রে টাকা জমিয়ে রাখেন। বেশ কয়েক মাসের সঞ্চয় তাঁরা তিরুমালা গেলে মন্দিরে হুন্ডিতে জমা দেন। মন্দির কর্তাদের ধারণা, এভাবে বাড়িতে জমানো বাতিল নোটই গত দু মাসে মন্দিরে হুন্ডিতে দিয়েছেন তাঁরা। প্রতি বছর হুন্ডিতে সোনা, রূপো তো বটেই, নগদে হাজার কোটি টাকার বেশিও জমা পড়ে মন্দিরে।