ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন ভগবান স্বামী নারায়ণের একটি ছবি সামনে আসে। ছবিতে দেখা যায়, ভগবান স্বামীনারায়ণের গায়ে রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সাদা শার্ট, খাকি শর্টস, মাথায় কালো টুপি ও পায়ে কালো জুতো। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে ছড়িয়ে পড়লে, শুরু হয় নয়া বিতর্ক।
মন্দিরের প্রধান পুরোহিত স্বামী বিশ্বপ্রকাশজির দাবি, দিন কয়েক আগে মন্দির কর্তৃপক্ষকে ওই পোশাকটি উৎসর্গ করে ছিলেন এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা।
প্রধান পুরোহিতের দাবি, তাঁদের মধ্যে নিয়ম আছে মাঝে মধ্যে ভগবানকে বিভিন্ন রকম পোশাক উপহার দেওয়ার। এভাবেই কোনও এক ভক্ত এই পোশাক মন্দির কর্তৃপক্ষকে দান করেছিলেন। তাঁর দাবি, তাঁরা কোনও উদ্দেশ্য ছাড়াই পোশাকটি ভগবান স্বামী নারায়ণকে পরিয়ে দিয়ে ছিলেন। কিন্তু সেই পোশাক নিয়ে এভাবে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে বুঝতে পারেননি।
যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষের এই দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়ে, ঈশ্বরকে কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের পোশাক পরানোর জন্যে কড়া সমালোচনার পথেই হেঁটেছে কংগ্রেস।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শঙ্করসিংহ ভাগেলা মন্দির কর্তৃপক্ষকে এধরণের কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের সংযত রাখতে বলেছেন। তাঁর দাবি, আজ মন্দির কর্তৃপক্ষ ভগবানকে আরএসএস-এর পোশাক পরিয়েছেন, আগামীকাল বিজেপির পোশাক পরাবে। এইধরণের ঘটনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্যে খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
এপ্রসঙ্গে গুজরাতের বিজেপি সভাপতি বিজয় রুপানির প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এধরনের কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং কখনওই করা উচিৎ নয়। আগামীদিনে তিনি লক্ষ্য রাখবেন এধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।