২০০২ সালে দুই মহিলা ভক্তকে ধর্ষণের মামলায় পাঁচকুলার বিশেষ সিবিআই আদালত গুরমিতকে দোষী ঘোষণা করতেই হাঙ্গামা শুরু করে দেয় তাঁর অনুগামীরা। নির্বিচার হিংসার পরিণতি হয় কমপক্ষে ২৮ জনের মৃত্যু।
পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের পূর্ণ বেঞ্চ আগেই হরিয়ানা সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআই আদালতের রায়ের জেরে পরিস্থিতি যেদিকেই যাক, প্রয়োজনে তারা যেন বলপ্রয়োগ করে, হাতিয়ার কাজে লাগায়।
সম্পত্তি ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়ে আগামীকালও বেঞ্চে শুনানি চলবে বলে জানান অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সত্যপাল জৈন।
পাঁচকুলার এক বাসিন্দার দায়ের করা জনস্বার্থ পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন কড়া অভিমত জানায় প্রধান বিচারপতি এস সিংহ শ্যারন, বিচারপতি অবনীশ ঝিঙ্গন ও বিচারপতি সূর্যকান্তের পূর্ণ বেঞ্চ।
আবেদনকারী প্রশাসনিক নির্দেশ সত্ত্বেও দেড় লক্ষের বেশি লোকের জেলায় ঢুকে পড়ার খবরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। সে ব্যাপারে আদালত বলে, যদি লোকজন হাঙ্গামা, হুজ্জুতি করে সম্পত্তি নষ্ট করে, তবে তার ভিডিও তুলে রেখে ডেরার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। পঞ্জাব, হরিয়ানা ও চন্ডীগড় প্রশাসনকে যে কোনও মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করতে নির্দেশ দেয় বেঞ্চ।
গতকালই বেঞ্চ পাঁচকুলায় ডেরার কর্মী, সমর্থকদের ব্যাপক সমাবেশ রুখতে ১৪৪ ধারা যথাযথ ভাবে ব্যবহার না করায় হরিয়ানা সরকারকে তুলোধনা করে।