তিরুঅনন্তপুরম: অখিলা ওরফে হাদিয়ার লাভ জেহাদের মামলা নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড় হওয়ার মধ্যেই এ নিয়ে নয়া অভিযোগ। নিজের বিয়ে খারিজের দাবি করে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ২৫ বছরের জনৈক মালয়ালি তরুণী। তাঁর অভিযোগ, জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরণ করে যৌন দাসী হিসেবে তাঁকে পাচার করা হয় সৌদি আরবে। তারপর সিরিয়ায় নিয়ে গিয়ে আইএস জঙ্গিদের কাছে তাঁকে বিক্রির চেষ্টা চলছিল।


মালয়ালি ওই তরুণীর বড় হয়ে ওঠা গুজরাতে। তাঁর অভিযোগ, ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরুর কলেজে পড়তে পড়তে জনৈক সাজ্জাদ রাহমের সঙ্গে তাঁর প্রেম হয়। তাঁরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে সাজ্জাদ তার ভিডিও তুলে রাখে, তারপর তা প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করে তাঁকে। বিয়ে করে এ বছর অগাস্টে তাঁকে সৌদি আরবে নিয়ে যায় সে। সেখানে তাঁর পরিচয় দেয় নিজের যৌন দাসী বলে।

সাজ্জাদের মাও এই ঘটনায় যুক্ত বলে ওই তরুণীর অভিযোগ। আরও অভিযোগ, অমুসলিমকে ইসলামে দীক্ষিত করে তাদের পরিবার অজানা কোনও উৎস থেকে সোনা ও টাকা পয়সা পেয়েছে। সৌদি থেকে তাঁকে নিয়ে সিরিয়া যাওয়ার ইচ্ছে ছিল সাজ্জাদের, এমনকী তাঁকে আইএসআইএস জঙ্গিদের কাছে বেচে দেওয়ার কথাও নাকি বলে সে।

৩ অক্টোবর কোনওমতে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই তরুণী। বাবা তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিমান টিকিটের স্ক্যান করা কপি পাঠিয়ে দেন। ৪ তারিখ শ্বশুরবাড়ি থেকে পালান তিনি, পরদিন পৌঁছন আমদাবাদ।

তাঁর দাবি, গোটা ঘটনায় যুক্ত কেরলের বিতর্কিত সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এ ব্যাপারে এনআইএ তদন্ত চেয়েছেন তিনি। সম্ভবত সোমবার কেরল হাইকোর্টে উঠবে মামলাটি।