নয়াদিল্লি: 'লাভ জিহাদে'র বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দেশের বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। 'লাভ জিহাদ' রুখতে আইনও কার্যকর হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এরইমধ্যে 'অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, বিয়ের আগে পুরুষদের তাঁদের সঙ্গীনীকে জানাতে হবে ধর্ম, চাকরি ও আয়ের উৎস সম্পর্কে।
বিজেপির এই নেতা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে একটি আইনের খসড়া রচনার কাজ শুরু হয়েছে, যা সমস্ত বিয়ের ক্ষেত্রেই হবে বাধ্যতামূলক। এই বিল মহিলাদের ক্ষমতায়ণে সহায়ক হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
হিমন্ত বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্বচ্ছতা না থাকলে বিয়েই করা উচিত নয়। ধর্ম কী, জীবনধারনের জন্য কী কাজ করা হয়, আয় কত-এই সমস্ত বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ধর্ম জানানোর কথা বলা হচ্ছে না, এক্ষেত্রে আয় ও চাকরি সম্পর্কেও জানানো দরকার।
হিমন্ত বলেছেন, অসম সরকার 'লাভ জিহা'দ সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব দিচ্ছে না, কিন্তু এটা সমস্ত ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তিনি বলেছেন, আমার এই চিন্তাভাবনা তথাকথিত 'লাভ জিহাদ' কেন্দ্রিক নয়। আমার চিন্তাভাবনা হল যে, কারুর পরিচয়, কাজ বা আয় লুকোনো উচিত নয়। অসম এ ব্যাপারে এমন কিছু করতে যাচ্ছে, যা কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে হবে না। এটা বিয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার উপায়। আমরা আইনের খসড়া তৈরির কাজ শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ পন্থীরা 'লাভ জিহাদ' শব্দের ব্যবহার করে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, মুসলিম পুরুষরা হিন্দু মহিলাদের বিয়ে করে তাঁদের ধর্মান্তরে বাধ্য করেন। এই শব্দবন্ধ ইদানিং ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। যদিও কেন্দ্র বা আদালত এই শব্দবন্ধের স্বীকৃতি দেয়নি।
উত্তরপ্রদেশ সম্প্রতি 'লাভ জিহাদে'র বিরুদ্ধে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। এতে ৫-১০ বছরের কারাদণ্ডের সংস্থান রাখা হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর যোগী আদিত্যনাথ সরকার এ ব্যাপারে নির্দেশ জারি করে। এর প্রায় মাসখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী 'লাভ জিহাদ' খতম করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মধ্যপ্রদেশ সরকারও ধর্মান্তরের উদ্দেশে দুই সম্প্রদায়ের জুটির বিয়ে রুখতে 'লাভ জিহাদ'-এ শাস্তি দিয়ে বিল এনেছে। বিলে এক্ষেত্রে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সংস্থান রাখা হয়েছে।