ভডনগর: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম নিজের জন্মভিটে গুজরাতের অখ্যাত জনপদ ভডনগরে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। কথা বললেন শিক্ষক, পড়ুয়াদের সঙ্গে। একটি হাসপাতালের উদ্বোধনও করলেন। পুজো করেন মন্দিরেও। জানালেন, ভডনগরবাসীর ভালবাসা তাঁকে দেশের সেবা করার নতুন উৎসাহ প্রদান করবে।


গুজরাতের মেহসেনা জেলার অখ্যাত জনপদ ভডনগর থেকে দিল্লির ৭ রেসকোর্স রোড৷ প্ল্যাটফর্মে চা বেচতে বেচতে বেচতে বড় হওয়া বালক, আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে ঘরের ছেলেকে স্বাগত জানায় গোটা ভডনগর।


[embed]https://twitter.com/ANI/status/916882536739098624[/embed]

হেলিপ্যাড থেকে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার সময় রোড শো করেন মোদী। তাঁর এসইউভি যেখান দিয়ে গিয়েছে, সেখানেই ফুল ছুঁড়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। চারদিকে ‘মোদী-মোদী’ স্লোগান উঠেছে।


এদিন মোদী বলেন, ভডনগরবাসীর ভালবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। এই ভালবাসা আমাকে দেশসেবায় নতুন উৎসাহ প্রদান করবে। এদিন ঘরের লোকের সামনে স্মৃতি রোমন্থনে ডুব দেন মোদী। জানান, নিজে অতীতের বিভিন্ন কথা।


কিশোর বয়সে যে ভডনগর স্টেশনে মোদী বাবার সঙ্গে চা বিক্রি করতেন, সেই স্টেশনও এ দিন সেজে উঠেছিল। চায়ের স্টলটিকে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল।


এ দিন ভডনগরে একটি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতাল তৈরিতে খরচ হয়েছে, ৪০০ কোটি টাকা। একটি শিব মন্দিরে পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী।


রবিবার নিজের ছেলেবেলার স্কুলেও যান প্রধানমন্ত্রী। এসইউভি-র দরজা খুলে নেমে হঠাৎই রক্ষীদের আগেই চলে যান স্কুলের সামনে।মাথা ছোঁয়ান মাটিতে। কথা বলেন শিক্ষক, পড়ুয়াদের সঙ্গে।


মোদী বলেন, ২০০১ সাল থেকে কিছু মানুষ আমার দিকে বিষ ছুঁড়ে চলেছে। কিন্তু, শিবের আশীর্বাদে আমি সব বিষ পান ও হজম করেছি। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ভডনগর থেকে শুরু করেছিলেন। আজ বারাণসীতে পৌঁছেছেন। জানান, ভডনগরের মতো বারাণসীও ভোলে বাবার জায়গা। সেখান থেকেই তিনি সব শক্তি পান।