লখনউ: উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রধান সচিব এসপি গোয়েলের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ আনা অভিষেক গুপ্তকেই আটক করল পুলিশ। অভিষেকের অভিযোগ ছিল, পেট্রোল পাম্প খুলতে চাওয়ায় গোয়েল তাঁর কাছে ২৫ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। আটক হওয়ার পর তিনি নাকি পুলিশকে বলেছেন, প্রধান সচিবের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেন তিনি।

ন্যায় বিচার চেয়ে অভিষেক উত্তর প্রদেশের সরকারি আধিকারিকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছিলেন। এমনকী পৌঁছে যান রাজ্যপাল রাম নায়েকের কাছেও। এ ব্যাপারে তদন্ত চেয়ে ৩০ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর অফিসকে চিঠি দেন রাজ্যপাল। কিন্তু ৪০ দিনেও তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। উল্টে অভিষেককেই দোষী দেখিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে নেমে পড়ে রাজ্য পুলিশ। তবে এবিপি আনন্দে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ মুখ্য সচিব রাজীব কুমারকে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।



কিন্তু অভিষেকের দুর্দশা একটুও কমেনি। বিজেপির লখনউ অফিসের কর্তা ভারত দীক্ষিত অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, সুবিধে পেতে অন্যায়ভাবে তিনি বিজেপি নেতাদের নাম ব্যবহার করছেন। এই অভিযোগ নাকি তিনি পেয়েছেন খোদ অভিযুক্ত প্রধান সচিবের কাছ থেকে। শুরু হয় অভিষেকের বিরুদ্ধে মকদ্দমা। গতকাল তাঁকে আটক করে পুলিশ। অভিষেক বয়ান দিয়েছেন, ফাইল পাশ না হওয়ায় রাগের চোটে প্রধান সচিবের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার মিথ্যে অভিযোগ করেন তিনি।

তাঁর এই পাল্টে যাওয়া বয়ান মানতে স্বাভাবিকভাবেই রাজি নয় বিরোধীরা। তাদের দাবি, চাপ দিয়ে তাঁকে অভিযোগ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা প্রশ্ন করেছে, যিনি প্রধান সচিবের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনেছেন, তাঁকেই উল্টে জেলে পুরে দেওয়া হল কেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সপার অখিলেশ যাদব বলেছেন, ঘটনার সিবিআই তদন্ত করাতে হবে। তাঁর অভিযোগ, যোগী সরকার অভিযোগ দায়ের করার পোর্টাল পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে, মানুষের অভিযোগের কোনও শুনানি হচ্ছে না।