নয়াদিল্লি: নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির প্রতি আবেগে ভেসে শ্রীনগরের ‘লোকজন জাতীয় পতাকার অসম্মান করেছে’ ভারত-বিরোধী স্লোগানে গলা ফাটানো লোকজন। তাই সেই শ্রীনগরে দাঁড়িয়েই এবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তুলতে চায় লুধিয়ানার ১৫ বছরের মেয়ে জাহ্নবী বহেল। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) সংসদ জঙ্গি হানা মামলায় ফাঁসি হওয়া আফজল গুরুর সমর্থনে গত ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় জড়িয়ে পড়া কানহাইয়া কুমারকে সরাসরি তার সঙ্গে বিতর্কে নামার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল মেয়েটি।

 

সে বলেছে, এই শ্রীনগরেই পড়ুয়ারা, তাদের সঙ্গে অন্যরাও শুধু জাতীয় পতাকার অমর্যাদাই করেনি, পাকিস্তানের পতাকাও তুলেছে। সুতরাং আমি ওখানে যাব, ওদের সামনেই জাতীয় পতাকা তুলব। দেখি আমায় কে ঠেকায়!

 

জাহ্নবীর মনে জাতীয় ভাবাবেগ এমনই প্রবল যে, কেউ ভারত-বিরোধী কথা বললে বা কিছু করলে, তাকে রেয়াত করতে নারাজ সে। আগের বেশ কয়েকটি সাক্ষাত্কারে সে এটা স্পষ্ট বলেছে। সে কারণেই শ্রীনগরে ভারত-বিরোধী স্লোগান উঠতে দেখে সে যারপরনাই খুব ক্ষুব্ধ।

 

জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিন্দা করায় তাঁকে প্রকাশ্যে বিতর্কে নামার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মেয়েটি বলেছিল, কানহাইয়াজি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে যা যা বলেছেন, তা পুরোপুরি ভুল, মেনে নেওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা না করে বরং তিনি যদি দেশবিরোধী স্লোগানের প্রতিবাদ করতেন, তবে ভাল হত। ভারত-বিরোধী স্লোগান ওঠা লজ্জার কথা। মোদী কেন, তাঁর জায়গায় আর কেউ থাকলে, কানহাইয়া যদি তাঁরও  নিন্দা করতেন, একই প্রতিক্রিয়া হত আমার।

গত ফেব্রুয়ারিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী জাহ্নবীর অজস্র চিঠির একটির জবাব দিয়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচি রূপায়ণে তাঁর উদ্যোগের প্রশংসা করেন। খবরের শিরোনাম হয় দশম শ্রেণিতে পাঠরত মেয়েটি।

 

এবার তাঁর লড়াই কাশ্মীরে পা রেখে সেখানে জাতীয় পতাকা তুলে দেশের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার।